মনিরুল ইসলাম মনি
প্রাথমিকে শিক্ষক সংকট নিরসনে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার প্যানেল প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ ছয় বছরে একটি মাত্র সার্কুলার হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আবেদন জমা পড়ে রেকর্ড সংখ্যক ২৪ লাখেরও বেশি। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৫৫ হাজার। যা মোট প্রার্থীর ২.৩ শতাংশ। চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে।
চূড়ান্ত মনোনীতদের মধ্যে অনেকেরই অন্য চাকরি হয়ে যাওয়ায় যোগদান করেনি। আরও অনেকে ৩৮ তম বিসিএস ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত রেজাল্টের অপেক্ষায় আছেন।
এ ছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়েছে। তাই করোনা পরবর্তী এ সংকট কাটিয়ে উঠতে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ঘরে ঘরে একজন করে সরকারি চাকরি প্রদান ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা প্রণোদনা হিসেবে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল শিক্ষকদের দাবি এখন সর্বমহলে আলোচিত।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে- ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ২৮ হাজার ৮৩২টি সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদ ছিল। বর্তমানে তা ৬৩ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকের এই চরম সংকট নিরসনে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার ছয় উপজেলার প্যানেল প্রত্যাশীরা।
প্যানেল প্রত্যাশী খোকসা উপজেলার মো. উজ্জ্বল হোসেন রুমেল বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় ২৪৫ জন লিখিত পরীক্ষায় টিকে আছে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক মহোদয় বলেছেন- প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষায় কোনো ফেল নেই, উপস্থিত হলেই ১৪/১৫। তার মানে আমরা যারা প্যানেল প্রত্যাশী সবাই পাশ এবং চাকরি পাওয়ার যোগ্য দাবি রাখি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিলে একদিকে যেমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দূর হবে তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদও কমে আসবে। পাশাপাশি শিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন ও বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড