জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে আগামীকাল। এজন্য ক্লাস শুরুর আগে হলও বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্রদের কোনোরকমে হলের গণরুমে থাকার ব্যবস্থা হলেও ঠাঁই পায়নি ছাত্রীরা। বরাদ্দ পেয়েও হলে উঠতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী হলগুলোর সামনে দায়সারাভাবে টানিয়ে দিয়েছে নোটিশ। তাতে লেখা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত (৪৯ ব্যাচ) ছাত্রীদের হলে আসন সংকট থাকায় হল বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমরা দুঃখিত।
এ চিত্র দেখে রীতিমতো হতাশ ও ক্ষুব্ধ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তাদের দাবি, প্রশাসন হল বরাদ্দ দিতে পারবে না তো আগে থেকে কেন জানানো হয়নি। এখন এই অবস্থায় কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। হলে সিট চাই না, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই।
নবীন শিক্ষার্থী শায়লা আক্তার পাবনা থেকে ক্যাম্পাসে এসেছেন তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। এক রকম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুনেছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। মনে অনেক প্রানবন্ততা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে রীতিমতো হতাশ হয়েছি।
লালমনিরহাট থেকে আসা জিমু আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক দূর থেকে রাতে জার্নি করে এসেছি। এসে দেখি হলে থাকার জায়গা নাই। এমতাবস্থায় কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।
রেজাউল করিম নামের একজন অভিভাবক বলেন, মেয়ে নিয়ে এসেছি। হাতে তোষক-বালিশ। প্রশাসন সিট না দিলে মেয়েকে নিয়ে এখানে সামিয়ানা টানিয়ে থাকব।
এ দিকে যেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ক্যাম্পাসে প্রশাসনের র্যাগিং বিরোধী র্যালি করার কথা সেখানে নবীন শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে প্রশাসন আয়োজন করেছে র্যাগিং বিরোধী র্যালি। র্যালি দেখে রীতিমতো ক্যাম্পাসে সমালোচনার শোরগোল শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান, যেখানে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং বিরোধী র্যালি করেছে, যা আসলেই লজ্জার বিষয়।
প্রশাসনের এমন দায়িত্বহীন আচরণে ক্ষুব্ধ ক্যাম্পাসে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও।
আরও পড়ুন : গরম পানিতে ঝলসে গেছে শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছাত্রীদের হলগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী সেশনজটের কারণে বের হতে পারছে না। অনেকের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়নি। ফলে সিট সংকট তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় আপাতত কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।
তিনি জানান, উপ-উপাচার্য মহোদয়ের বাসার সামনে ৬টি রুমে ও বেগম সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম, শেখ হাসিনা ও প্রীতিলতা হলে ১৫০ জন ছাত্রীর সাময়িকভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি অতিদ্রুত এই সংকট কেটে যাবে।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড