ঢাবি প্রতিনিধি
ভিক্ষার সঙ্গে জড়িত পথশিশু আকাশ-চাঁদনির জীবন বদলাতে ও ভিক্ষা থেকে দূরে রাখতে ওজন পরিমাপের যন্ত্র কিনে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র ও চিত্রশিল্পী শওকত শাওন। তবে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় সিন্ডিকেটের চাপে পথশিশু আকাশ ‘ওজন মাপার যন্ত্র’ ফেরত দিয়ে এসে পুনরায় ভিক্ষাবৃত্তিতে যোগ দেয় বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত নজরুলের সমাধির সামনে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত পথশিশু আকাশ-চাঁদনি। তীব্র রোদ বা ঝড়ের মাঝেও ভিক্ষা করতে হয় তাদের। তাই ‘আকাশ-চাঁদনির’ জীবন বদলাতে ও ভিক্ষা থেকে দূরে রাখতে ওজন পরিমাপের যন্ত্র কিনে দেয় শওকত শাওন।
শওকত শাওন চান না আকাশ-চাঁদনি আর ভিক্ষে করুক। তাই তাদের জন্য একটি ওজন মাপার যন্ত্র কিনে দেন তিনি। পরে তিনি ফেইসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সম্ভব হলে আপনারা ওজন মাপবেন। এতে দুজন পথশিশুর জীবন বদলে যাবে।
পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অনেকে বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থলে দেখা করতে যান। তবে সেখানে গিয়ে ওজন পরিমাপের যন্ত্র দেখা যায় না। বরং পুনরায় ওই দুই পথশিশুকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে আকাশ বলেন, ‘শাহদাত ভাইকে মেশিন দিয়ে এসেছি। আমার লাগবে না ওটা।’ অর্থাৎ ভিক্ষাবৃত্তিতেই থাকতে চায় পথশিশু আকাশ।
এই ঘটনার বিষয়ে শিল্পী শওকত শাওন বলেন, ভিক্ষুকদের সিন্ডিকেটের চাপে বিকাল ৫টায় আকাশ ওই ওজন মাপার যন্ত্র ফেরত দিয়ে যায়। তবে কারা সেই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : ইবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, তদন্ত কমিটি গঠন
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সিন্ডিকেটকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেক শিশুকে জোর করে এই পেশায় এনে বন্দি করে রাখেন সিন্ডিকেটরা। এমন কি ভিক্ষার নতুন নতুন পদ্ধতিও তাদের শেখানো হয়। এদের বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড