ব্লক মার্কেটে লেনদেন বেড়েছে ৮৮ কোটি টাকা

ঈদের আগে লেনদেনের সর্বশেষ সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৮টি কোম্পানির ১৪২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৮৮ কোটি টাকা বা ১৬৪ শতাংশ বেশি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সপ্তাহজুড়ে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার হাতবদল করেছে। আর তখন কোম্পানিগুলোর ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৪২ কোম্পানির ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৯৭৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। তখন কোম্পানিগুলোর ৫৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে সপ্তাহ ব্যবধানে ব্লক মার্কেটে লেনদেন বেড়েছে ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বা ১৬৪ শতাংশ।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির ১৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে থাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার।

এছাড়া তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংকের ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৮ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৭ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ওয়াটা কেমিক্যালের ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার, আইপিডিসির ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, সিনোবাংলার ১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৮৩ লাখ টাকার, জেএমআই সিরিঞ্জের ৮১ লাখ টাকার, ফু-ওয়াং ফুডসের ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৪৬ লাখ টাকার, নাভানা সিএনজির ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ২৫ লাখ টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১৬ লাখ টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১৫ লাখ টাকার, এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫ লাখ টাকার, এইচআর টেক্সটাইলের ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরোমিকের ৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, আলহাজ টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার এবং সিমটেক্সের ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ওডি/টিএফ