অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা জারি করেছে। ফলে যারা এখন থেকে দেশে টাকা পাঠাবেন, এর সুবিধা ভোগকারীরা এই প্রণোদনা ভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ নীতিমালা জারি করে কার্যকর করার জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে। নীতিমালায় প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা দিতে বিলম্ব বা হয়রানি করা হলে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব প্রবাসী গত ১ জুলাই থেকে আয় পাঠিয়েছেন, তারাও সরকারের ২ শতাংশ নগদ সহায়তা সুবিধা পাবেন। যাদের আয় মাসে ১ হাজার ৫০০ ডলারের কম, তারা কোনো নথিপত্র ছাড়াই এই প্রণোদনা পাবেন।সরকার ব্যাংকগুলোকে অগ্রিম তিন মাসের প্রণোদনার অর্থ দেবে । তবে এখনই টাকা ছাড় না হলেও ব্যাংকগুলোকে সুবিধাভোগীদের প্রণোদনা দেওয়া শুরু করতে হবে।
চলতি বছরের অর্থবাজেটে অর্থমন্ত্রী নতুন বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা পাবেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নতুন এই নীতিমালায় বলা হয়, যেসব ব্যাংকে প্রবাসী আয় আসবে, তারাই সুবিধাভোগীকে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেবে। প্রতিবার ১ হাজার ৫০০ ডলারের আয় এলে তাৎক্ষণিক সুবিধা দিতে হবে। তবে কারো যদি এর চেয়ে বেশি আয় আসে, তাহলে পাসপোর্টের কপি, বিদেশি কোম্পানির নিয়োগপত্র, ব্যবসার নথিপত্র জমা দিলে নগদ সহায়তা মিলবে। আর সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে প্রণোদনা দিতে হবে। গ্রাহককে আয় আসার তথ্য জানানোর সময় নগদ সহায়তার আলাদাভাবে তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, কোনো গ্রাহক নিয়ম ভেঙে নগদ সহায়তা নেয়, তাহলে তা ফেরত দিতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যে হিসাব রয়েছে, ব্যাংকগুলো তা থেকে ওই টাকা কেটে রাখবে। আর যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা এ কাজে জড়িত থাকবে, তাদের শাস্তিও দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো পরবর্তী তিন মাসের জন্য সরকারের প্রণোদনার তহবিল নিতে পারবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, তবে এক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চাহিদা দিতে হবে। এ তহবিল শেষ হলেও ব্যাংকগুলোকে নিজ তহবিল থেকে প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি প্রণোদনার তথ্য দাখিল করতে হবে। এতে প্রবাসী আয় প্রেরকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট, গ্রহণকারী নাম ও পেশা, ব্যাংকের নামসহ আরও নানা তথ্য জমা দিতে হবে।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড