লভ্যাংশ না দেওয়ায় 'বি' ক্যাটাগরিতে নেমে এলো ৭ কোম্পানি

লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ৭টির অবস্থার উন্নতি এবং ৯টির অবস্থার অবনতি হয়েছে।

সাধারণত এই ৩৫৬ কোম্পানিকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়।এদের মধ্যে যারা ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দেয় তারা 'এ' গ্রুপের আওতায় পড়ে। এগুলোকে পুঁজিবাজারের মৌলভিত্তি সম্পন্ন বা ভালো কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আর যেসব কোম্পানি ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়, তারা গ্রুপ ‘বি’ এর অন্তর্ভুক্ত। এদের দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয়। যেসব কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয় না, তারা ‘জেড’ গ্রুপের। এদেরকে আবার পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যেসব কোম্পানি নতুন তালিকাভুক্ত তাদেরকে ‘এন’ গ্রুপে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণায় ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৩টি কোম্পানি, একটি কোম্পানি উন্নিত 'বি' গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে এবং ৩টি কোম্পানি ‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে উঠেছে।

অপরদিকে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় দুটি কোম্পানি ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘জেড’ গ্রুপে চলে গেছে। আর ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়ার কারণে ৭টি কোম্পানি ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে নেমে গেছে।

‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে উন্নিত হওয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বঙ্গজ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইস্টার্ন কেবলস। আর ‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে উন্নিত হয়েছে কে অ্যান্ড কিউ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক এবং হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে উন্নিত বিডি অটোকারস।

এদিকে কেয়া কসমেটিকস ও ডেল্টা স্পিনার্স লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘জেড’ গ্রুপে চলে গেছে।আর অ্যাপোলো ইস্পাত, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিড, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স এবং ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লভ্যাংশের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে নেমেছে।

ওডি/টিএফ