১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেল ডিএসই

গেল সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। একই সঙ্গে সবকটি মূল্য সূচক এবং লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।

ডিএসইর বাজার মূলধন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।

এছাড়া সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৮২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দাম।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকও বেড়েছে। এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

আর বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর আগের সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ কমলেও গেল সপ্তাহে তা বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এসময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট লেনদেন বেড়েছে ২০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান ছিল ৮১ দশমিক ২০ শতাংশ,‘বি’ গ্রুপের দখলে ছিল ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের অবদান ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ডিএসইতে সপ্তাহব্যাপী টাকার পরিমাণে ফরচুন সুজের শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে যা ছিল সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। ৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।

পরবর্তী স্থানগুলোতে আছে যথাক্রমে- মুন্নু সিরামিক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, জিনেক্স ইনফোসিস, জেএমআই সিরিঞ্জ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ।

ওডি/টিএফ