নয় বছর পর নতুন উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ

দীর্ঘ নয় বছর পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন উড়োজাহাজ। আর সামনের মাসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক।

সচিবলায়ে নিজ দপ্তরে মহিবুল হকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে শুধু একবারই একসঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার ঘটনা। ২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই নয়টি বহর বিমান বন্দরে যুক্ত হয়েছে। যেখানে আছে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। আর বাকি একটি ড্রিমলাইনার খুব তাড়াতাড়ি বহরে যুক্ত হবে। দীর্ঘ নয় বছর আর কোনো নতুন উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করা যায়নি। অথচ দিন দিন যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজের চাহিদাও বাড়ছে।’

ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

তবে তিনি নতুন করে কী পরিমাণ উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করা হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাহিদা এবং সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করবে বলে তিনি জানান।

মহিবুল হক বলেন, ইতোমধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হওয়া সবগুলো উড়োজাহাজ সর্বাধুনিক। নতুন করে চুক্তি করা উড়োজাহাজগুলো নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ উপযোগীই হবে।

নতুন উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করার সঙ্গে সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবসার ধরন ও প্রকৃতি পাল্টাবে এবং একই সঙ্গে রুটও বাড়ানো হবে বলে যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি এয়ারলাইন্স হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরা প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট থেকেও এদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বিমান বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও প্রদান করে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে এর কার্যক্রম বিদ্যমান।

ওডি/টিএফ