• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দুই ব্রোকার হাউজের নিবন্ধন সনদ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি 

  অধিকার ডেস্ক    ২৪ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫৬

বিএসইসি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) (ছবি: সংগৃহীত)

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বার বার আইন ভাঙার অপরাধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার এম সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেকহোল্ডার ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নিবন্ধন সনদ (লাইসেন্স) বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন বিধিমালা ২০০০-এর ১২ ধারা অনুযায়ী, এই দুই ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৯৪তম কমিশন সভায় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার এম সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি কমিশন ওই ঘাটতি সমন্বয়ের নির্দেশ দেয়। এ জন্য ১৪ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় বলে এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা গেছে।

পরে এম সিকিউরিটিজ দুইবার সময় বৃদ্ধির আবেদন করে। তবে কমিশন তা নামঞ্জুর করে। পরে এম সিকিউরিটিজ চলতি বছরের ২ জুলাই চিঠি দিয়ে বিএসইসিকে জানায়, ২৭ জুনের মধ্যে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে।

তখন বিএসইসি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ডিএসইকে অনুরোধ করে। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে ডিএসই বিষয়টি পরীক্ষা করে কমিশনে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে এম সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে এখনও ৯৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৯২ টাকা ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে আসে।

অন্য দিকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি ব্রোকারেজ হাউজ ১৯৮৭ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলের ৮(এ)-এর ১ ও ২ ধারা ভঙ্গ করেছে। এছাড়া তারা অসত্য তথ্য দিয়ে ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্সের ১৮ ধারা ভঙ্গ করেছে।

২০১৭ সালেও কোম্পানিটির গ্রাহকদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি ছিল এবং পরিচালকদের গ্রাহকের সমন্বিত হিসাব থেকে ঋণ দেয়। আর এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ লাখ টাকা এবং দুই পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও একই অপরাধে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসইসি মনে করছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরও বার বার একই রকম অপরাধে সম্পৃক্ত থাকায় গ্রাহকদের সম্পত্তি রক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০- এর ১২ ধারা অনুযায়ী এম সিকিউরিটিরেজ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে সিএসইর ট্রেকহোল্ডার ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের সিলেট শাখায় ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বার বার চেষ্টার পরও সিএসইর এখনো প্রতিষ্ঠানটির পাওনার ২৯ দশমিক ১৫ শতাংশ অপরিশোধিত রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সিএসইর বোর্ড সভায় পাওনা পরিশোধের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসইসি কোম্পানিটির সিএসই থেকে প্রাপ্য লভ্যাংশ এবং সিএসইসির ২০১৩ সালের রেগুলেশন অনুযায়ী প্রাপ্য ফ্রি লিমিট স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ না করলে, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০-এর ১২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড