• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঋণ খেলাপিদের ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সেল 

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৫৪
বাংলাদেশ ব্যাংক

ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিবিড় তদারকির মধ্যে আনার পাশাপাশি সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করতে বলা হয়েছে। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা কমিয়ে আনতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে।

নানা উদ্যোগ নিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। কেননা বড় ঋণ খেলাপিরা বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে নানা উপায়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ জন্য এবার খেলাপির বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এখন ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ নিবিড় তদারকি করা হবে। পাশাপাশি সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করা হবে। এতে তাদের অবস্থা সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের অপরাপর সব শ্রেণিকৃত ঋণসহ ১০০ কোটি টাকা এবং তদূর্ধ্ব স্থিতিবিশিষ্ট শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাবসমূহ নিবিড় তদারকি একান্ত আবশ্যক। শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংক সংশ্লিষ্ট উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে একটি বিশেষ তদারকি সেল গঠন করবে; যারা ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকি করবে। এই সেল ত্রৈমাসিক বিবরণীতে বর্ণিত শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব আদায় অগ্রগতিসহ যাবতীয় তথ্য স্ব স্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে। ত্রৈমাসিক বিবরণী পরবর্তী মাসের শেষ কর্মদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের টাস্কফোর্স সেলে দাখিল করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিবরণীতে প্রদর্শিত শ্রেণিকৃত ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ কিংবা অন্য কোনো কারণে নিয়মিত বলে গণ্য হলেও নিয়মিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৮টি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা বিবরণীতে রাখতে হবে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ওই বিবরণীর যথাযথ পর্যালোচনা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে ঋণের বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পরিচালনা পর্ষদ নিয়মিতভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

প্রজ্ঞাপনে আগামী অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ওই বিবরণীর হার্ড ও সফট (এক্সএল সিট) কপি দাখিল করতে হবে। আর আগামী এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক থেকে আলোচ্য বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দাখিল করতে বলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঘোষণা দেন খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। তবে এরপরেও তা কমেনি। গত মার্চে এই খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে এই খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এর আগে কোনো এক প্রান্তিকে এত বেশি খেলাপি ঋণ বাড়েনি।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড