• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসছে অর্থমন্ত্রী 

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২২ জুলাই ২০১৯, ১৩:৩৪
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক
(ছবি: সংগৃহীত)

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২২ জুলাই) বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, এ বৈঠকে ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের অনুপাত (এডিআর) সমন্বয়, তারল্য সংকট, নয়-ছয় সুদহার বাস্তবায়ন, খেলাপি ঋণ কমানো ও খেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধাসহ ব্যাংকখাতের চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে রবিবার (২১ জুলাই) বৈঠক করেন। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংক মালিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুদহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এজন্য ব্যাংকগুলো নানা সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছে। কিন্তু গত এক বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) এখন ৯ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করতে ৬ শতাংশ আমানত রাখার দাবি করেন। তবে গ্রাহক পর্যায়ে ৬ শতাংশ সুদে আমানত পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সভায় এমডিরা এসব কথা বলেন।

ব্যাংক মালিকরা গত জুলাই থেকে ঋণে সর্বোচ্চ ৯ এবং আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ (নয়-ছয়) সুদ কার্যকরের ঘোষণা দেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সুদহার কমানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তারা। আর ব্যাংকগুলো এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) কমানো, রেপো রেট কমানো ও মেয়াদ বৃদ্ধি, মুনাফার ওপর কর কমানো, সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখাসহ বেশকিছু সুবিধাও পায়। কিন্তু তারল্য সংকটের অজুহাতে অনেক খাতে সুদহার বাড়ছে।

অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, যেসব ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদে ঋণ না দিলে তাদের কাছে ৬ শতাংশ সুদে সরকারি সংস্থার আমানত রাখা হবে না।

ব্যাংকার্স সভায় ব্যাংকের এমডিরা জানান, বিভিন্ন কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ৬ শতাংশ সুদে আমানত পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি সরকারি সংস্থার আমানতও পাওয়া যাচ্ছে না। ৬ শতাংশ সুদে আমানত না পেলে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়।

সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকের মালিকরাই সুদহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরাই পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনবেন। তবে এখনই কমানো সম্ভব নয়।’

সরকারি সব ব্যাংক এবং দু-একটি বেসরকারি ব্যাংক নয়-ছয় সুদহার কার্যকর করেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘সুদহার কার্যকরের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে চাপ সৃষ্টি করবে না। ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা করবে।’

ব্যাংকগুলোতে কেনো খেলাপি ঋণ বেশি তা জানতে চাইলে ব্যাংকগুলো জানিয়েছে, জুনে তাদের খেলাপি ঋণ কমে গেছে। তবে খেলাপি ঋণ যেন ১০ শতাংশের নিচে থাকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শীর্ষ খেলাপি ও ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঘোষণা দেন খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। তবে এরপরেও তা কমে কমে নি। গত মার্চে এই খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে এই খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এর আগে কোনো এক প্রান্তিকে এতো বেশি খেলাপি ঋণ বাড়েনি।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড