গেল সপ্তাহে ১১ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে  ডিএসই 

গেল সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের পতন ঘটে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কমেছে। পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

পাঁচদিন কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে, তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

পাশাপাশি এসময়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬০টির দাম বেড়েছে,কমেছে ২৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দাম।

এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের বড় পতন হয়। সূচকটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে।আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৪৯ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এদিকে বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে এটি ১৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছিল।

আর ডিএসইর আরেক সূচক শরিয়াহ্ ৩৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে।তার আগের সপ্তাহে সূচকটি ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছিল।

এই পাঁচদিনে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কার্যদিবসে গড় ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ লেনদেন কমে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ১১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট ১৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

গেল সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে মোট লেনদেনের ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশই ছিল। আর ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির দখলে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ রয়েছে।

টাকার পরিমাণে ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়। কোম্পানিটি ৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

রানার অটোমোবাইল ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড ৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে রয়েছে।

লেনদেনে পরবর্তীতে অন্যান্য অবস্থানে আরও আছে - জেএমআই সিরিঞ্জ, রুপালী ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, মুন্নু সিরামিক, গ্রামীণফোন এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

ওডি/টিএফ