• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আলহাজ টেক্সটাইলকে এফডিআরের টাকা বুঝিয়ে দিলো অগ্রণী ব্যাংক

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০২ জুলাই ২০১৯, ১৪:৩৬
আলহাজ টেক্সটাইল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ টেক্সটাইলকে অগ্রণী ব্যাংক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এফডিআরের টাকা পরিশোধ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) জানানো হয়েছে, ২০ মে কোম্পানিটি টাকা পেয়েছে।

জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক আলহাজ টেক্সটাইলকে ১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৭ টাকা পরিশোধ করেছে। গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ মামুনুন রহমান ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের দ্বৈত বেঞ্চে বস্ত্রখাতের আলহাজ টেক্সটাইল লিমিটেডের পক্ষে মামলার রায় দেন।

আদালতের রায় অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংককে ১৫ দিনের মধ্যে আলহাজ টেক্সটাইলের এফডিআর করা ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাওনা টাকা পরিশোধ করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্র থেকে জানা যায়, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধিত (আরজেএসসি) হয়। ১৯৬৭ সালে কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়।

পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে সরকার কোম্পানিটিকে জাতীয়করণ করে এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) কাছে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮২ সালে আলহাজ টেক্সটাইলকে বেসরকারিকরণ এবং এর দায়িত্ব আগের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আর এই মালিক হস্তান্তরের সময় দুই কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার ৮০৫ টাকার দায় উদ্ভূত হয়। বিটিএমসির সময়ে এ ঋণ উদ্ভূত হয়েছিল। তখন এ অর্থ পরিশোধের জন্য আলোচনার ভিত্তিতে সরকার, বিটিএমসি, বিটিএমএ ও ব্যাংকের সঙ্গে কোম্পানি, বিটিএমসি ও ব্যাংকের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ঋণ পরিশোধের জন্য চুক্তি অনুযায়ী একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়। ক্যাশ ক্রেডিট কোম্পানির পক্ষ থেকে তহবিলের অর্থ এবং ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুদ পরিশোধ করার কথা ছিল। এ তহবিলে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দুই কোটি ৯ লাখ টাকা জমা হয়। চুক্তি অনুসারে, বিশেষ তহবিলটিকে স্থায়ী আমানতে (এফডিআর) রূপান্তর এবং লিয়েন মার্ক করে অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়।

পরিবর্তীতে ২০০৮ সালে এই ঋণ পরিশোধ করা হয়। ঋণ পরিশোধের পর অ্যাকাউন্টে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪২ হাজার ১৭৮ টাকা অবশিষ্ট থেকে যায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এফডিআরের অবশিষ্ট অর্থ থেকে কোম্পানিকে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৬৪ হাজার ৭৯১ টাকা পরিশোধে সম্মত হয়। এজন্য কোম্পানি এফডিআরে টাকা জমা দেওয়া বন্ধ এবং অগ্রণী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে রিট করে।

অগ্রণী ব্যাংককে আদালত ২০১১ সালে সুদসহ এফডিআরের অর্থ কোম্পানির অনুকূলে পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল করে। আপিলেও আদালত ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে কোম্পানির এফডিআরের টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়।

সময় পেরিয়ে গেলেও কোম্পানি যখন টাকা ফেরত পায়নি, তখন তারা সাপ্লিমেন্টারি রুলের জন্য আবেদন করে। যেখানে ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এফডিআরে অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কিন্তু ব্যাংক মাত্র আট কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।

পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ২০১৮ সালে আলহাজ টেক্সটাইল ও অগ্রণী ব্যাংকের যৌথ সম্মতির মাধ্যমে পাওনা টাকার পরিমাণ নির্ধারণে পিনাকী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই হাইকোর্ট অগ্রণী ব্যাংককে আলহাজ টেক্সটাইলের অনুকূলে ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড