গড় লেনদেন বাড়লেও ৪০০০ কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

২০১৯-২০ অর্থছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারে পাঁচদিন লেনদেন হয়। এ পাঁচদিনের মধ্যে পুঁজিবাজারে মিশ্র লেনদেন হয়। যার মধ্যে তিন কার্যদিবসে দরপতন হয় এবং দুইদিন উত্থান হয়। আর এ মিশ্র লেনদেনের ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারিয়েছে।

শেষ সপ্তাহে এসময় বাজারে সবকটি সূচকের পতন হলেও লেনদেনের পরিমাণ বাড়ে। এসময় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায়, তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা কমেছে ।

এছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ২২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।

সপ্তাহব্যাপী ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে সূচকটি ৯৬ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছিল।

আর গত সপ্তাহে বাকি দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সূচকটি আগের সপ্তাহে বাড়ে ২৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ কমেছে। এ সূচকটি আগের সপ্তাহে বাড়ে ২৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

পাশাপাশি ডিএসইতে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৫১৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা লেনদেন হয়। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন ৪৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা গড়ে লেনদেন হয়। সে হিসেবে প্রতি কার্যদিবসে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ গড় লেনদেন বেড়েছে ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৩৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে মোট লেনদেনের ৮৩ দশমিক ৬১ শতাংশই ছিল। আর ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির দখলে ১০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির দখলে রয়েছে দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে ডিএসইতে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়। কোম্পানিটি সপ্তাহব্যাপী ৯৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই সিরিঞ্জ ৭০ কোটি টাকা শেয়ার লেনদেন হয়, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৪৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে রয়েছে।

পরবর্তী অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে-ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লোথিং, নূরানী ডাইং, মুন্নু সিরামিক, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং বিবিএস কেবলস।

ওডি/টিএফ