• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০৪ জুন ২০১৯, ১৪:৩৬
মসলা
মসলার বাজার (ছবি : সংগৃহীত)

ঈদের আগ মুহূর্তে মসলার বাজারে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে। ঈদ উদযাপনে নতুন নতুন পোশাক পরিচ্ছদের পাশাপাশি ভালো খাবার আয়োজনেও আগ্রহের কমতি থাকে না। ফলে এ সময় বিভিন্ন মসলার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। আর পাইকারি ও খুচরা বাজারের বিক্রেতারা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েই মসলার পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়িয়ে দেয়।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দারুচিনি ও এলাচ ছাড়া বাজারে অন্য সব মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিবছর ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে সাদা এলাচ বাংলাদেশে এলেও এ বছর সেটি আসছে না। কারণ ভারতে এলাচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় তারাই আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই গুয়াতেমালা থেকে এলাচ আমদানি করছে।

জানা গেছে, গত বছর এলাচ ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবার তার দাম প্রতি কেজি ১৮০০-১৯০০ টাকা। আর এখন নতুন যেসব এলাচ দেশে আমদানি হচ্ছে সেগুলোর দাম আরও বেশি।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি সাদা এলাচ ২১০০ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারগুলোতে তা ২১০০-২৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সুপারশপগুলোতে এর দাম ২৫০০-২৬০০ টাকা।

অন্যদিকে সরবরাহ সঙ্কটের কারণে দারুচিনির দাম বেড়েছে। দারুচিনির জন্য বাংলাদেশ মূলত চীন ও ভিয়েতনামের ওপরই নির্ভর করে। পাইকারি বিক্রেতারা দুটি দেশে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না। এজন্য পণ্যটির দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে দারুচিনির দাম ছিল ২৫০-২৮০ টাকা, বর্তমানে তা ৩২০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে অন্য মসলাগুলোর দামও বেড়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি জিরা ৩২০-৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি লবঙ্গ ৯০০-২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর বিভিন্ন মুদি দোকানে প্রতি কেজি লবঙ্গ ১২০০-১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সুপারশপগুলো তা ২০০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে ভালো মানের লবঙ্গ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি হয়।

অন্যদিকে, ঈদের সময় আরেক অনুষঙ্গ উপাদান হচ্ছে কিশমিশ। বাংলাদেশে ইরান ও চীন থেকে এটি আমদানি করে থাকে। সারাবছরই এ পণ্যটি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। যে কারণে এর পাইকারি ও খুচরা দামে পার্থক্য থাকে কম। পাইকারি বাজারে কিশমিশ ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কিশমিশ ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে জায়ফল ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জায়ফল ৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দেশের বাজারে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে কাজু বাদাম আসে। বর্তমানে এই পণ্যটির পাইকারি ৯৭০-৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে তা দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ১৮০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া আলুবোখারা কেজিতে ৮০০-১০০০ টাকা ও শাহী জিরা ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড