ঢাকাকে আবাসযোগ্য করতে বিশ্বব্যাংকের ১০ কোটি ডলার ঋণ

বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে রাজধানী ঢাকা শহরের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। তাই ঢাকা শহরের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং আবাসযোগ্য করতে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রাপ্ত অর্থের বিনিময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেশকিছু এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২৯ মে) এ সংক্রান্ত এক ঋণ চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জাহিদ হোসেন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহিদুল হক।

এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের শহরগুলোকে আবাসযোগ্য করতে হবে। জনগণের দৃষ্টিতে এসডিজি গোল ১১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের মোট উৎপাদনের পাঁচ ভাগের এক ভাগই ঢাকা শহরে হয়ে থাকে। এজন্য ঢাকা শহরের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের দুটি বিশেষত্ব আছে, প্রথমটি হলো সেটি উন্নতি করা, দ্বিতীয়ত সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন কার্যকর করা। জনগণের মতামত নিয়ে স্থানীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

তবে প্রকল্পের কার্যক্রম খুব ভালো হলেও তার সঠিকতম বাস্তবায়ন অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন লালবাগ, কামরাঙ্গীচর, গুলিস্থান, সূত্রাপুর, নয়াবাজার, খিলগাঁও, মুগদা ও বাসাবো এলাকাগুলোতে জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য স্থান বৃদ্ধি এবং নগর সেবা উন্নয়ন করা। বাকি উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি করাসহ নগরবাসীর সামগ্রীক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করা, পার্ক, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট উন্নয়ন, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিক সেবা বাড়ানো হবে।

বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৮৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে। তবে এ অর্থ ৫ বছর গ্রস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

পাশাপাশি তাদের অনুত্তোলিত অর্থের ওপর সর্বোচ্চ বার্ষিক শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে। এছাড়া চলতি বছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট চার্জ আইডিএ বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুসারে মওকুফ করা হচ্ছে।

ওডি/টিএফ