• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সঞ্চয়পত্রে ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ১৫২ শতাংশ বিনিয়োগ অর্জিত

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২১ মে ২০১৯, ১৪:৩২
সঞ্চয়পত্র
ছবি : সংগৃহীত

দিন দিন দেশে সঞ্চয়পত্রের চাহিদা বেড়েই চলছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’ ২০১৮-মার্চ’ ২০১৯) বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এসেছে সঞ্চয়পত্রের নেট (প্রকৃত) বিনিয়োগ ৩৯ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। এই অর্থের পরিমাণ অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দেড়গুণ।

পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমিত দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ব্যাংক আমানতের সুদের চেয়ে এখনো দ্বিগুণ বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে সঞ্চয়পত্রে। ফলে সকল শ্রেণির মানুষ যেমন-বিত্তশালী থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবাই সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন। এক কথায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়েছে।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১২ মাসে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। ইতোমধ্যেই নয় মাসে ৩৯ হাজার ৭৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ঋণ এসেছে। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১৫২ শতাংশ। ফলে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা ঋণ দাঁড়িয়েছে ।

অন্যদিকে এই মার্চ থেকে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়।পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়। তবে বিভিন্ন শর্ত অরোপ করার পরও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেনি।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিভিন্ন জাতীয় সঞ্চয়স্কিমে ৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা নেট বিনিয়োগ আসে। ২০১৮ সালের মার্চে যার পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে ৫৪১ কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর মুনাফা দেয়। যখন মেয়াদ পূর্ণ হয়, পরে সেই বিনিয়োগকৃত অর্থও ফেরত দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, অটোমেশনে ন্যাশনাল আইডিকার্ডের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের লিঙ্ক রয়েছে। কেউ সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনছে কি না সেটি সহজেই ধরা পড়বে। এছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগরোধে ৫০ হাজার টাকার বেশি কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে তাকে চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করতে হবে।

এ অটোমেশন পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে ও সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ব্যুরো অফিস (গুলিস্তান) এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের প্রধান কার্যালয়ে চালু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সব অফিসে এই অনলাইন পদ্ধতি নিশ্চিত করা হবে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, সঞ্চয়পত্রে সাধারণ মাানুষের বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রা বাজারে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার যৌক্তিকীকরণে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে।

এতকিছুর পরেও সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদ হারে কোনো পরিবর্তন হবে না। ২০১৫ সালের ১০ মে সবশেষ সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ হার গড়ে ২ শতাংশ কমানো হয়েছিল।

তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই হার ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে কার্যকর আছে। এর পূর্বে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড