অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
রানার অটোমোবাইলস পুঁজিবাজার উত্তোলন করা অর্থ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে লেনদেন শুরু করবে। তবে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগেই কোম্পানিটি আর্থিক অবস্থার অবনতি জানিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সোমবার (২০ মে) কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফায় ধস নেমেছে। যার প্রভাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’২০১৮ থেকে মার্চ’২০১৯) কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা লেনদেন শুরুর আগেই একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়ার তথ্য প্রকাশ পাওয়া ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন।
তারা বলছেন, এটি কোম্পানির দুর্বল দিক প্রকাশ করে। আর যে কোম্পানিটি আইপিও অনুমোদনের আগে মোটা অঙ্কের মুনাফা দেখিয়ে উচ্চ প্রিমিয়াম নিল, লেনদেন শুরুর আগে তাদের মুনাফায় ধস সন্দেহজনক।
কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির আগে আর্থিক প্রতিবেদন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে কি না তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) খতিয়ে দেখা উচিত বলেও তারা অভিমত দেন। একই সঙ্গে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটি থেকে কেউ অনৈতিক উপায়ে টাকা সরিয়ে নিচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
রানার অটোমোবাইলসকে গত বছরের ১০ জুলাই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে গবেষণা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ মেটাতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার আইপিও আবেদনের জন্য রাখা হয়।
পরবর্তীতে বিজয়ীদের আইপিও শেয়ার বুঝিয়ে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে লেনদেনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের দেওয়া অনুমোদন বলেই মঙ্গলবার থেকে ‘এন’ গ্রুপের আওতায় রানার অটোমোবাইলসের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।
এদিকে লেনদেন শুরুর আগের দিন সোমবার কোম্পানিটি ডিএসইকে জানিয়েছে,চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যবসা করে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এই মুনাফার পরিমাণ ৭৭ পয়সা।
আগের বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি কর পরবর্তী মুনাফা ১১ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ১ টাকা ১৮ পয়সা। ফলে আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মোট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি মুনাফা কমেছে ৪১ পয়সা।
২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা।
তার আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মুনাফা করেছিল। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ৩ টাকা ৭১ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় রানার অটোমোবাইলসের মোট মুনাফা ১ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা কমেছে। আর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা কমেছে ১৩ পয়সা।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড