অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
রাজধানীর বাজারগুলোতে রমজান উপলক্ষে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও বেশির ভাগ পণ্যই অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু সবজির দাম আগের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে- করলা, কাঁকরোল, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা,কচুর লতি।
তবে ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, চিনি, মাছ ও মাংস চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কিছু পণ্যের দাম আবার অপরিবর্তিত আছে। রবিবার (১৩ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পলাশী, রামপুরা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই মিলেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহ থেকে এই সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি বেগুন মান ও বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া কচুর লতি ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়,পটল ৫০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৭০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, কাঁকরোল ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দলও ২০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকার জায়গায় এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
তবে বাকি সব ধরনের সবজির দাম লাগাম ছোঁয়া। পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লেবু হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তবে কিছু সবজির দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। যেমন- লাউ প্রতি পিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, সজনে ডাটা কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতি আঁটি লাল শাক, পালং শাক ১০ থেকে ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা এবং বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মাংসের এ দাম পহেলা রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অভিযানের ভয়ে সকালে এই নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হলেও বিকাল থেকেই তা ২০ থেকে ৭৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে, মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতো সকালে ১৩০- ৪০ টাকা থাকলেও বিকেলে তা ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ বাজার ও সময় ভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। তবে বেড়েছে রসুনের দাম। গত সপ্তাহে রসুন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দাম অপরিবর্তিত আছে চাল ও অন্যান্য মুদি পণ্যের। প্রতি কেজি নাজির শাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। আর মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ চাল ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আর পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, খোলা আটা ২৬ টাকা, প্যাকেট আটা ৩২ টাকা, খোলা ময়দা ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খেসারি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বুট ৩৮ থেকে ৪০ টাকা,প্রতি কেজি ছোলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করছেন ক্রেতারা।
তবে ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়।আর মুদি দোকানে ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭-৮ টাকায়।
বিভিন্ন ধরনের মাছের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০, রুই কাতলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০, পুঁটি ২৫০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০,আইড় ৮০০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা,বেলে মাছ প্রকারভেদে ৭০০ টাকা, বাইম মাছ ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৮০০, বোয়াল ৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল খুলেছে। দেশের যে কোনো স্থানের মূল্য বৃদ্ধির তথ্য সেলকে দেওয়ার জন্য ৯৫৪৯১৩৩, ০১৭১২-১৬৮৯১৭,৯৫১৫৩৪৪ ও ০১৯৮৭-৭৮৭২০৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
একইসাথে বাজার নিয়ন্ত্রণে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাভুক্ত বাজারগুলোতে ডিজিটাল মূল্য তালিকার বোর্ড বসানো হবে।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড