• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: স্বস্তিহীন সাধারণ মানুষ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০৯ মে ২০১৯, ১৪:৩৭
নিত্যপণ্য
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি (ছবি : সংগৃহীত)

চাহিদার তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বেশি মজুদ থাকায় রোজায় পণ্যের দাম বাড়বে না, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন আশ্বাসের পরও বাস্তবে নিত্যপণ্যের বাজারে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রোজায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ পণ্যের দাম রোজা শুরু হওয়ার আগে থেকে বেড়ে গেছে।রোজা শুরুর পর নতুন করে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। অথচ বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ তদারকি দলসহ জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করলেও এর সুফল ভোক্তারা পাচ্ছেন না। বাজারে এখন প্রায় সব সবজির দামই আকাশছোঁয়া।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৫৫ টাকা আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭৫ টাকায়। শুধু তাই নয়, দেশি ও অন্যান্য মুরগির দামও বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করলেও কেজি প্রতি তা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। সব ধরনের মাছও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আদা, বিভিন্ন ধরনের ডাল, মসলা, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে।

খুচরা বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২২ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১০০ থেকে ১১২ টাকা, প্যাকেট আটা ৩৪ থেকে ৪০ টাকা ও ছোলা ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অথচ রমজান শুরুর সপ্তাহখানকে আগেও দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা,আমদানি করা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা, দেশি রসুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা,বোতলজাত সয়াবিন ৯৫ থেকে ১০৩ টাকা, প্যাকেট আটা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, ছোলা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

অন্যদিকে গত দেড় মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, রসুন ২০ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্যাকেট আটা ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও ছোলার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ দাম বেড়েছে। আর গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোজায় খাদ্য ও ভোগ্য নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা আগেই বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এজন্য রমজানের প্রায় সপ্তাহ বাকি থাকতেই বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। ভোক্তারা যাতে রমজানের সময় এটা নিয়ে নতুন করে বলতে না পারেন, সেজন্যই ব্যবসায়ীরা এমনটা করেন।

অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, শুধু রাজধানী ঢাকা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে নয় বরং জেলা শহরগুলোতেও খাদ্যপণ্য ও নিত্যপণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। মূলত স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ক্রেতাদের অতিরিক্ত পয়সা গুণতে হচ্ছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড