অর্থনীতি ডেস্ক
পায়রাবন্দর প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের লক্ষ্যে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কোরিয়ার তিনটি কোম্পানির (জয়েন্ট ভেঞ্চার) মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কোরিয়ান এই কোম্পানি তিনটি হলো- দায়ে ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড,কুন হা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড এবং হেরিম আর্কিটেক্টস অ্যান্ড প্ল্যান আর্টস কোম্পানি লিমিটেড।
২০২১ সালের মধ্যে সরকার পায়রাবন্দরের জন্য ৬টি বার্থসহ কমপক্ষে দুটি টার্মিনাল নির্মাণ এবং ১০ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতার চ্যানেল সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য প্রথম পর্যায়ে তিনটি বার্থসহ একটি টার্মিনাল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মিত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে একনেক সভায় ৩৯৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের লক্ষ্যে মঙ্গলবার পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কোরিয়ার তিনটি কোম্পানির (জয়েন্ট ভেঞ্চার) মধ্যে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিপত্রে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গীর আলম, দায়ে ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের ডিরেক্টর তায়ে জিনকিম, কুন হা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জিয়ং লানোহ এবং হেরিম আর্কিট্যাক্টস অ্যান্ড প্ল্যান আর্টস কোম্পানি লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার ইয়ুন স্যাঙ জো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বাস্তবায়নাধীন ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে পায়রাবন্দর প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর দেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের ফলে বন্দরের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধন করেন।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড