• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

খেলাপি ঋণের নতুন নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি

  অর্থনীতি ডেস্ক

২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৩৭
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার খেলাপি ঋণ নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার জন্য নতুন নীতিমালা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে খেলাপি ঋণ অবলোপনের এ নীতিমালা জারি করে। রবিবার (২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে বলে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক একেএম আমজাদ হোসাইন স্বাক্ষরিত সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেহেতু এখন ব্যাংকিং খাতে তীব্র তারল্য সংকট বিরাজ করছে, তাই খেলাপি ঋণকেই এর প্রধান কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে কোনও ঋণের কিস্তি তিন মাস অনাদায়ী হলে সাব-স্ট্যান্ডার্ড, ছয় মাস অনাদায়ী হলে সন্দেহজনক এবং ৯ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে মন্দমানের খেলাপি হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়। তবে নতুন নীতিমালায় এ তিনটি ক্ষেত্রেই সময় বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ একটি সার্কুলার জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগে সব ধরনের চলতি ঋণ, ডিমান্ড ঋণ, ফিক্সড টার্ম লোন অথবা যে কোনও ঋণের কিস্তি তিন মাসের বেশি অনাদায়ী থাকলে সাব-স্ট্যান্ডার্ড গণনা করা হতো। কিন্ত নতুন নীতিমালায় সেটি তিন মাসের বেশি, কিন্তু ৯ মাসের কম অনাদায়ী থাকলে তা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণ হিসেবে গণ্য করা হবে।

আগে যেখানে ৬ মাসের বেশি ৯ মাসের কম অনাদায়ী ঋণকে ডাউটফুল লোন বা সন্দেহজনক ঋণ বলা হতো, কিন্ত সেখানে এখন ৯ মাসের বেশি কিন্তু ১২ মাসের কম অনাদায়ী থাকলে সেটি ডাউটফুল লোন বা সন্দেহজনক ঋণ হবে।

আর আগে ৯ মাসের বেশি অনাদায়ী ঋণ মন্দ ঋণ হিসেবে বিবেচিত হতো। এখন ১২ মাসের বেশি অনাদায়ী ঋণ ব্যাড ডেট বা মন্দ ঋণ হবে। তবে সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের একটা অংশ খেলাপি ঋণ হিসেবে দেখাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। আগে সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণ খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা হতো না।

ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। আর নিম্নমান বা সাব স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকের আয় খাত থেকে অর্থ এনে এ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। যদি খেলাপি ঋণ বাড়ে সেক্ষেত্রে ব্যাংকের আয় না হলে প্রভিশন ঘাটতি দেখা দেয়।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি থাকলে শেয়ারহোল্ডাদের জন্য তারা কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। এখন যদি নতুন এই নীতিমালা কার্যকর হয়, তাহলে ঋণ খেলাপিরা যেমন বাড়তি সুবিধা পাবে, তেমনি ব্যাংকগুলো প্রভিশন রাখতেও বাড়তি সময় পাবে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড