অর্থনীতি ডেস্ক
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। রেমিটেন্সের এ ধারা ইতিবাচক হলেও খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এক্সচেঞ্জ হাউজের লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করলে এই রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়বে। নতুনদের এ ব্যবসায় আসার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাধা এবং প্রবাসে বাংলাদেশি দুতাবাস ও মিশনগুলোর অসহযোগিতার কারণে এ খাত বিকশিত হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৫শ' ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩শ' ৫০ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
ব্যাংকসংশ্লিষ্টদের মতে,দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করার প্রভাব পড়েছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের আয় বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্য তার অর্থনৈতিক মন্দাও এখন কাটিয়ে উঠছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডানসহ নানা দেশে নতুন নতুন শ্রম বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর এক অসুবিধা হলো আমরা সেখানে ইচ্ছেমত আমাদের কর্মী পাঠাতে পারি না। এছাড়া সব জায়গায় কাজের অনুমতিও পাওয়া যায় না।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত রেমিটেন্স আয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। ২০১৮ সালে দেশটির রেমিটেন্স আয় ছিল ৭ হাজার ৮শ' ৬০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান।আর রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধির বিচারে নেপালের পরে বাংলাদেশের অবস্থান হলেও ডলারের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়।
এদিকে, এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও উদার হলে অবৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে আসবে।
বাংলাদেশে দুবাইভিত্তিক রেমিটেন্স এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ‘মাই ওয়ালেটের’ কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসুদ রানা মজুমদার জানান, নতুন কোনো একটা এক্সচেঞ্জ হাউজ একটা ব্যাংক অফার দিলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক সময় তিন থেকে চার মাস সময়ও লাগিয়ে দেয়। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা গাইড লাইন আছে যেখানে তাদের স্থানীয় দুতাবাস, হাইকমিশনগুলোতে একটা প্রতিবেদন দিতে হয়। অথচ তারা আমার জানা মতে স্পেন দুতাবাস, কানাডা হাইকমিশনে কোনো প্রতিবেদন দেয় না।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রবাসে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ। সে হিসাবে দেশে মাথাপিছু রেমিটেন্স এসেছে মাত্র সাড়ে ১২ শ' ডলার।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড