• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্ধ হয়ে গেছে পোশাকের শিপমেন্ট

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২১ মার্চ ২০২০, ১৮:২০
শ্রমিক
পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক (ছবি : সংগৃহীত)

সারাবিশ্বে মহামারি আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে হিমশিম খাওয়া বিদেশি ক্রেতারা বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেওয়া। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে দেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, এখনো কোনো কারখানা করোনার কারণে বন্ধ করা হয়নি। তবে মালের শিপমেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। মাল পরে নেবেন বলছেন ক্রেতারা। কিন্তু কবে নেবে তার তো কোনো ঠিক নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কারও কোনো কাজ থাকবে না। আর কাজ না থাকা মানে তো কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াই।

সরকারের সঙ্গে শিগগিরই এসব নিয়ে বৈঠকে একটা সিদ্ধান্ত হবে। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কারখানাগুলোয় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নজদারি রাখার উদ্দেশ্যে ৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং উত্তরা অফিসে হটলাইন স্থাপন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়া এলাকার ইপোক গার্মেন্টের মালিক আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ পোশাক যায়। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। ক্যানসেল হয়ে গেছে মালের অর্ডার। তাই নতুন করে কাপড় কাটাও যাচ্ছে না। আমাদের লোন ছাড় করছে না ব্যাংক। এখন ক্রেতা ও সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছি আমরা। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা কী করে পরিশোধ করব সেটা নিয়ে টেনশনে আছি।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, শ্রমিকদের তামপাত্রা মেপে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার করছে সবাই। কর্মস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, কাজের টেবিল ও হাত জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সাবান ও কেমিক্যাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি ভিজিটরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে পারবে না শেয়ার দর

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের মতো এত জনগোষ্ঠী অন্য কোনো সেক্টরে নেই। একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলেই পুরো কারখানা ছড়িয়ে পড়বে। এজন্য পোশাক কারখানাগুলোর মার্চ মাসের বেতন দিয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে ছুটি দেওয়া উচিত।

বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এ সেক্টরটিতে দ্রুত কার্যকর নানা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাই অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করছেন তিনি।

ওডি/এওয়াইআর