অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
মরণঘাতী করোনা ভাইরাস বর্তমানে ১৭৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ২২৯ জন এবং মারা গেছে ৮ হাজার ৯৮২ জন। এমন পরিস্থিতিতে এ ভাইরাস মোকাবিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সদস্য দেশগুলোর জন্য ৬৫০ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
গত বুধবার (১৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মাসাসুগু আশাকাওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটি প্রতিরোধের জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর ভাইরাস মোকাবিলায় জন্য ৬৫০ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এ প্যাকেজের পরেও আরও অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে এডিবি।'
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমান পরিবহন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখন বৈশ্বিক মন্দা আর হুমকি নয়। কেননা শুরু হয়ে গেছে মন্দা। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের অর্থনীত সব সূচকেই নিম্নগামী। এ থেকে যে খুব দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে, এমন সম্ভাবনাও কম।
করোনা ভাইরাসের মহামারি আকার ঠেকাতে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক বাজারে ধস দেখেও এশিয়া এখনও উচ্চমাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করছে না। অনেক বিশেষজ্ঞই এ পরিস্থিতিতে বলছেন, শুরু হয়ে গেছে বৈশ্বিক অর্থনীতির সংকোচন।
আরও পড়ুন : ব্যাটারির ক্ষয়ে দায়ী ফাস্ট চার্জিং!
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক প্রধান ডেভিড উইলকক্স বলেন, '১০ দিন আগে যৌক্তিক কারণেই এ অনিশ্চয়তা ছিল যে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না। কিন্তু ১০ দিন পর আর এ নিয়ে প্রশ্নই নেই যে পরিস্থিতি সে দিকেই যাচ্ছে।'
পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে বিগত ১ সপ্তাহে। ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে দেশগুলোতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিসর। অর্থনীতির জন্য ব্যাপক অভিঘাত এসব পদক্ষেপ। বিশেষ করে চীনের অর্থনীতির ওপর যখন পরিষ্কার হচ্ছে প্রভাব, তখন ব্যাপারটা সব ক্ষেত্রেই পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।
ওডি/এওয়াইআর