ভালুকা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুরের বাগান করে দারুণ সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মোতালেব মিয়া। বাগানের সারি সারি গাছে ঝুলছে বাহারি জাতের খেজুর। সৌদি খেজুরের আকার ও স্বাদ বাজারে এর চাহিদাও বেশ। খেজুর ও চারা বিক্রি করে প্রতি বছরের তিনি আয় করেন লাখ লাখ টাকা।
ময়মনসিংহে ভালুকা ভাগ্য বদল করতে ১৯৯৮ সালে সৌদি আরব গিয়ে তিন বছর কর্মরত থাকার পর ৩৫ কেজি বিভিন্ন জাতের খেজুর নিয়ে ফিরে আসেন ভালুকার প্রত্যন্ত গ্রামে যুবক আব্দুল মোতালেব। মাথায় একটাই চিন্তা দেশের মাটিতে ফলাবেন সৌদি খেজুর। ২০০১ সালে নিজের বাড়ির পাশে শুরু করেন খেজুরের বাগান তৈরির কাজ। নিজের বাগানে সৌদি খেজুর ফলিয়েই ভাগ্য বদল করেছেন মোতালেব। ৭৫টি চারা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাগানে এখন গাছ রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। বাগানের সারি সারি গাছে ঝুলছে খেজুরের কাদি। সৌদি খেজুরের মতোই তার বাগানের খেজুরের আকার ও স্বাদ হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশ।
সত্ত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব বলেন, এদিকে আমি সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়। এলাকায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন খেজুর বাগান। এক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা চান তিনি। তবে খেজুর বাগান তৈরিতে সহায়তার সুযোগ নেই বলে জানান ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, আলাদা করে খেজুর চাষের কোন বিশেষ সুবিধা নেই। আমরা খেজুর চাষিদের যেভাবে সম্ভব সেভাবেই সাহায্যের চেষ্টা করবেন। হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল
মোতালেবের বাগানের প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হয় ২ থেকে ২৫০০ আড়াই হাজার টাকা আর বীজ থেকে পাওয়া চারার দাম কম থাকলেও কলমের চারা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা করে বিক্রি হয়।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড