• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা 

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, ১৪:৪৮
কৃষি ঋণ
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান(ছবি: সংগৃহীত)

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের কৃষি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা (লক্ষ্যমাত্রা) ঘোষণাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিবেশবান্ধব টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও কৃষকদের কাছে কৃষিঋণ সহজলভ্য করতে নীতিমালা সময়োপযোগী করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এই বছর সরকারি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।আর বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।

গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা। আর ব্যাংকগুলো ২৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আট শতাংশ বেশি।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন কৃষক ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার ঋণ পেয়েছেন। আর ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিঙ্কেজের মাধ্যমে ১৬ লাখ ১ হাজার ৮৫৬ জন নারী ৭ হাজার ১৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ১৬ হাজার ৩২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন এবং চর, হাওর ও অনগ্রসর অঞ্চলের ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষক ৩১ দশমিক ৬১ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এনজিও-নির্ভরতা কমিয়ে আনতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। কেননা এনজিওর মাধ্যমে কৃষিঋণ পেতে কৃষকের ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ সুদ দিতে হয়।

নতুন নীতিমালায় বিদেশি ফল রামবুটান ও কাজুবাদাম চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে এর চাষে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যেখানে পাঁচ একর পর্যন্ত জমিতে ফল দুটি চাষের জন্য একর প্রতি ঋণসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ১৫০ টাকা ও ৬৫ হাজার টাকা।

এছাড়া এই নীতিমালায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে ৬০ শতাংশ শস্য খাতে ও ন্যূনতম ১০ শতাংশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিতরণের বাধ্যবাধকতা বহাল রাখার পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড