গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। চরাঞ্চলের ধু-ধু বালুর বুকে সবুজের নজরকাড়া দৃশ্য। যে দিকে চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। বাদামের ছোট ছোট গাছগুলো বালু চরগুলোর বুকে চিরে উঠেছে সবুজের সমাহার। অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ কম এবং অধিক লাভ পাওয়ায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, পাগলার চর, সন্যাসীর চর, বুলবুলির চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে খরিফ মৌসুমের চিনা বাদমের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচে চাষাবাদ করে অধিক লাভ পাওয়ায় এবং অল্প সময়ে ফসল উৎপাদন হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে বাড়ছে বাদাম চাষ। বাদাম রোপণের পর অন্য ফসলের মতো কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। নেই রাসায়নিক সারের ব্যবহার। কোথাও কোথাও চলছে আগাম বাদাম তোলার কাজ। প্রতিটি লতানো বাদাম গাছ ধরে টান দিলেই উঠে আসছে থোকা থোকা সোনালি রঙের বাদাম। প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে বাদাম উৎপাদন হয় ২০-২৪ মণ। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এ জন্য ধান ও অন্য ফসল বাদ দিয়ে বাদাম চাষে ঝুকছে চাষিরা।
বাদাম চাষি আব্দুর গফুর মিয়া বলেন, চরাঞ্চলে ধান কম হয়, তাই বাদাম চাষ করি। বাদাম চাষ অন্য ফসলের চেয়ে কষ্ট কম হয়। সা ও পানি কম লাগে এবং বাদামের জমিতে কোনো আগাছা হয় না। এবার আমার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি বন্যার আগেই বাদাম ঘরে আনতে পারব। বাদাম বিক্রি করে ভালোই চলছে আমার সংসার। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতায় কথা জানান ফুলছরি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন- বাদাম চাষ অধিক লাভবান। বাদাম চাষে আগ্রহী করতে চরের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং নিয়মিত চলছে মাঠ দিবস। সেই সাথে বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ, প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ দিকে উপজেলায় রবি মৌসুমে ৭শ ৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছিল এবং চলতি খরিপ মৌসুমে ২০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের চাষ হয়েছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড