অর্থনীতি ডেস্ক
দিন দিন দেশের সুস্বাদু দেশি প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক জলাভূমি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো হাওর, খাল-বিল ও নদীতে দেশি প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায় না। মূলত মাছের প্রজননস্থল ধ্বংস এবং ফসলি জমিতে ব্যাপকহারে কীটনাশকের ব্যবহারের কারণেই এসব মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
তবে শ্রীমঙ্গলে চাষের মাছ দিয়েই মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। সেখানকার মাছের বাজারে বিভিন্ন খামারে কৃত্রিম উপায়ে চাষ করা মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাবদা মাছ।
শ্রীমঙ্গলের মৎস ব্যবসায়ী মো. মনসুর বলেন, শ্রীমঙ্গলের বাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পাবদা মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এ মাছ বাজার দখল করে রেখেছে।ছোট সাইজের পাবদা কেজি প্রতি সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা এবং বড় সাইজের পাবদা কেজি প্রতি সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও এই মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র থেকে জানা গেছে, কৃষি জমিতে ব্যাপকহারে কীটনাশক ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নদী-নালা, খাল-বিল প্রভৃতি জলাশয়ের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। আর বিষাক্ত পানির ফলে মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে। এজন্য দেশীয় মাছ এখন অনেকাংশে বিলুপ্তের পথে।
এছাড়া মাছের মতো শামুকসহ জলজপ্রাণীর প্রজননক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে চাষের মাছ দিয়েই শ্রীমঙ্গলে মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলের চাষের মাছ প্রায় ৭০ শতাংশ মৎস্য চাহিদা পূরণ করছে। এর মধ্যে মধ্যে অন্যতম হলো পাবদা মাছ। এছাড়া তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, টেংরা কৈ প্রভৃতি মাছও রয়েছে।
একসময় আমাদের দেশের নদী-নালা, খাল-বিলে নানা ধরনের মাছ পাওয়া যেতো। যেমন কাতল, মৃগেল, চিতল, বোয়াল, কালবাউশ, শিং, টাকি, রুই, মহাশোল, মাগুর, চাপিলা, ফলি, মধু, পাবদা,খলশে ইত্যাদি। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসব মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড