• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দিনাজপুরে চা চাষ, অর্থনীতির উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা

  সুবল রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি

১২ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪৪
চা বাগান
চা বাগান (ছবি : সংগৃহীত)

ড্রাগন ফল, মাল্টা এবং কমলা চাষে সাফল্যের পর দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয়েছে চা চাষ। এই চা চাষের সাফল্য এনে দিয়েছে অর্থনীতির উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা। ধীরে ধীরে বদলে যাবে চা চাষের ফলে উত্তারঞ্চলের দৃশ্যপট। মানুষ খুঁজে পাবে কাজের সন্ধান। দূর হবে বেকারত্ব। পাশাপাশি বদলে যাবে দিনাজপুরের অর্থনীতি।

দিনাজপুরের কয়লা খনি, পাথর খনি, কমলা চাষ, মাল্টা চাষ, সর্বপরি চা চাষ এই অঞ্চলের মানুষদের ভাগ্য বদলে দিবে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ঝলঝলি গ্রামের নজরুল ইসলাম এক বছর পূর্বে এক একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষ শুরু করেন। নজরুল ইসলামের চা চাষের সাফল্য দেখে একই ইউনিয়নের পাল্টাপুর আশ্রায়ন গ্রামের আজাদ আলী চা চাষ শুরু করেন। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুর জেলার ভৌগলিক কারণে চা চাষের উপযুক্ত স্থান বলে মনে করেন কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সমতলে চা চাষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকরা কাজ করে দৈনিক ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় করছেন। যা দিয়ে তাদের সন্তানের লেখাপড়া ও সংসারের ভরণ পোষণ খুব ভালোভাবে চলছে বলে জানান চা বাগানের শ্রমিকরা।

চা বাগানেরর উদ্যোক্তা পলাশবাড়ী ঝলঝলি বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, চা বাগান প্রস্তুত করে চা চারা রোপন করতে এক একরে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। চা রোপনের পর প্রতি মাসে চা পাতা বিক্রি করা হচ্ছে। গাছের বয়স ২ বছর হওয়ার পর প্রতি মাসে এক জমির চা পাতা বিক্রয় হবে ২৫ হাজার টাকায়। কিন্তু চা গাছ রোপনের পর ৮ মাস পরেই চা পাতা বিক্রি করতে শুরু করছেন। পার্শ্ববর্তী জেলার পঞ্চগড় নর্থ বেঙ্গল চা কারখানায় বিক্রি করেন। এই চা পাতা ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। চা বাগানে পরিচর্যা ছাড়া তেমন আর কোনো খরচ নেই। বছরে দুইবার সার দিলেই চলে। জৈব সার চা বাগানের জন্য খুবই উপযোগী। চা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন নজরুল ইসলাম। চা চাষে সব ধরনের সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃপক্ষ। তারা চা চাষিদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের পরামর্শ দেন।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বীরগঞ্জের মাটি চা চাষের জন্য উপযোগী। সঠিক পরামর্শ পেলে এলাকায় চা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

বীরগঞ্জে চা চাষ বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলের মানুষরা যেমন উপকৃত হবে। তেমনি বদলে যাবে অঞ্চলের অর্থনীতি। যার প্রভার পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। তাই সরকার সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করবে এলাকার চা চাষিদের এমন প্রত্যাশা এলাকার জনগণের।

ওডি/এসজেএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড