• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে শেরপুরের কৃষক

  শেরপুর প্রতিনিধি

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:২৩
বোরো
বোরো সেচের জন্য নলকূপ স্থাপন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় সেচ কমিটির অনুমোদন পেলেও পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির কারণেই বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না তারা।

জানা যায়, সেচের অভাবে অনাবাদী থেকে যাবে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি দাবি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে উপজেলায় এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

তথ্য মতে, গত বছরের আবেদনসহ চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ১১৫টি সেচ কমিটির আবেদন জমা দিয়ে ছিলেন কৃষকেরা। আর এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএডিসির কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেখে এ উপজেলায় ৮৪টি সেচ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। তন্মধ্যে কাংশা ইউনিয়নেই ২৯টি সেচ কমিটির অনুমোদন মিলে। কিন্তু সেচ কমিটির অনুমোদন পেলেও মিলছে না বিদ্যুৎ সংযোগ।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গেলে কথা হয় কাংশা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। তারা জানান, আবেদন করার পর উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কৃষকরা ধার দেনা করে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করে মিলছে না তাদের সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে কোন ধরনের সুরাহা না পেয়ে বিপাকে আছেন এসব এলাকার কৃষক। তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির কারণেই মিলছে না তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ। সরকার যেখানে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাইছে সেখানে আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আমাদের হয়রানী করছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফয়জুন নাহার নিপা জানান, এমনিতেই এ উপজেলা পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানির লেয়ার খুব গভীরে এবং মাটিতে পাথর থাকায় গভীর নলকূপ ছাড়া সেচ কার্যক্রম চালানো কঠিন। তবে যেসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হলে ইরি মৌসুমে আবাদের পরিমাণ বাড়বে। উপজেলায় এবার ইরির লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৪ হাজার ৪২৩ হেক্টর। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টরের মত আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বাড়বে এবং আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, এ মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে যায় তার মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় শত শত একর জমি অনাবাদী থেকে যাবে। আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে সদাশয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তবে এ ব্যাপারে শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) দৈনিক অধিকারকে জানান, সাদা কাগজে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের আবেদন গুলোতে সংযোগ দিয়েছি পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালের আবেদন গুলো সার্ভে করে দেখে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবো। গ্রাহকদের হয়রানী হচ্ছে এবং আবেদন গ্রহণের সময় কোন ধরণের রশিদ প্রদান করা হয়নি বলে তাকে জানালে তিনি জানান সার্ভে শেষে আমরা আবার ১০০ টাকার ফর্মে আবেদন নেবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড