• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দাম বেড়েছে মাছ-মাংসের, কমেছে পেঁয়াজ-ডিম-রসুনের

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০৬ মার্চ ২০২০, ১২:২০
বাজার
বাজার (ছবি : সংগৃহীত)

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ-মাংসের দাম বাড়লেও পেঁয়াজ, রসুন, ডিম ও সবজির দাম কমেছে। এ দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, সিপাহীবাগ, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, ধোলাইখাল, কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, গ্রীন রোড, নারিন্দা, ফকিরাপুল, হাতিরপুল বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে পটল কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও জালি কুমরা ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতিকেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৪০ টাকা, বড় কচু ৫০ টাকা, বিট ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সিমের বিচি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতি পিস বাঁধাকপি-ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে প্রতি আটি (মোড়া) কচু শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, মুলা শাক ১২ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কিন্তু মাছের বাজারে এ চিত্র কিছুটা ভিন্ন। দাম বেড়েছে সবধরনের মাছের। ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য মাছের মধ্যে পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল-মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, কাচকি-মলা ৩৫০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, তাজা ছোট পুঁটি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং আকারভেদে রুই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছের মতো মাংসের বাজারও চড়া। গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গরুর মাংস ৫৮০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৩০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের। ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি বয়লার ১৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা ও সোনালী মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ থেকে ১০ টাকা কমে লাল ডিম ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগির ডিম ১৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কোয়েল পাখির ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

বাজারগুলোতে পেঁয়াজ ও রসুনেরও দাম কমেছে। ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, চায়না বড় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ টাকা, তিন কোয়া রসুন ২০০ টাকা এবং আদা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শীঘ্রই কমবে পেঁয়াজের দাম

ক্রেতারা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে পুঁজি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এখন মাছ-মাংসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। অবস্থা আরও খারাপ হবে রমজান মাসে। এজন্য এখন থেকেই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। নইলে অস্থিরতা দেখা দেবে রমজান মাসে।

কিন্তু ক্রেতাদের সঙ্গে একমত নন বিক্রেতারা। তারা বলেন, পাইকারি বাজারে মালের সংকট হলে অথবা দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও দাম বাড়ে। বর্তমানে গরু-মহিষের দাম বেশি হওয়ায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড