অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে দুই দিনের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার প্রথম স্টেকহোল্ডার্সের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ সস্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী দিনে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গুয়াহাটিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে ভারতকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
টিপু মুনশি বলেন, এখনো যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো দূর করতে হবে।
এ সম্মেলন অংশ নিয়েছেন বাণিজ্য, যোগাযোগ, নৌ পরিবহনসহ বাংলাদেশের শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
দুই দেশের যৌথ স্বার্থের বিষয়গুলো উঠে আসে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ভারতের হলদিয়া বন্দরের নর্থ ইস্টের যে আয় তার প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব চলে যাবে বাংলাদেশে। এখানে ভারতও লাভবান হবে। আসাম একটা ভাগ পাবে, ত্রিপুরা একটা ভাগ পাবে। আমরা সাত ভাই-বোন ভাগ করে নেব।
আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানান, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের যৌথ স্বার্থ টেকসই করা গেলে সবাই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, বিবিআইএন বন্দরে ব্যবহার করার মতো বিষয়গুলোতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চাই দুই দেশের যৌথ স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকুক। সবাই লাভবান হোক।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে সেটা টেকসই করার তাগিদ দিলেন বক্তারা। উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলোর উন্নতিতে ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকেও পাশে চান বক্তারা।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড