বিটিআরসির নোটিশ অযৌক্তিক : গ্রামীণফোন 

পাওনা বকেয়া টাকা আদায়ে গ্রামীণফোনের টু-জি এবং থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না মর্মে বিটিআরসির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে এই মোবাইল ফোন অপারেটর।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন। বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা পর্ষদ) কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

গ্রামীণফোন ডিএসইকে জানিয়েছে, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল মাসে গ্রামীণফোনের কাছে থেকে বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৪ হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকাসহ মোট ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে বিটিআরসি।

গত ৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে বিটিআরসি থেকে কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে গ্রামীণফোনের টু জি এবং থ্রি জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে গ্রামীণফোন বলছে, কোম্পানি, শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) অন্যায্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তবে বিটিআরসির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি গ্রামীণফোন।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা ঠিক করা হবে।

এ দিকে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। দিন দিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। গত পাঁচ মাসে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা হরিয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারা।

যে দিন গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে চিঠি দেয় বিটিআরসি। সেই দিন থেকেই গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। তার আগের কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪১৭ টাকা। অব্যাহত দরপতনের কারণে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টাকায়। এ হিসাবে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১১৮ টাকা। গ্রামীণফোনের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি। অর্থাৎ অব্যাহত দরপতনে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১৫ হাজার ৯৩৩ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫৯৬ টাকা।

ওডি/আরএডি