অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
বাংলাদেশের একটি প্রতিবেশী দেশ ভারত। এবার দেশটির ত্রিপুরা রাজ্যে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ত্রিপুরায় গেছে পরীক্ষামূলক একটি চালান। বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকো এলপিজি প্রথমবারের মতো এ জ্বালানি পণ্যটি রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো জানায়, চলতি মাসের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি-পরিবহন এবং শুল্ক সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। আর সেটা হলে চলতি বছরের আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বর মাসে নিয়মিত এ জ্বালানি পণ্যটি রপ্তানি শুরু হবে বলে জানা যায়। এর মধ্যদিয়ে দেশের রপ্তানি তালিকায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস)।
জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যের পর ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও এই এলপিজি রপ্তানি করা হতে পারে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে এলপিজি খাতের বিস্তার চায় সরকার। বাণিজ্যিকভাবেও এটি টেকসই করার ব্যাপারে সরকারি নীতিনির্ধারক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহী। আগে কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করে দেশে বিক্রি করত। এখন বিদেশে রপ্তানির সুযোগ চাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি আমদানির পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগও রাখা হয়েছে এলপিজি বটলিং প্লান্ট স্থাপন নীতিমালাতে। এর ধারাবাহিকতায় ভারতে এলপিজি রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় চুক্তি স্বাক্ষর প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
এ ব্যাপারে জ্বালানি বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে এলপিজির প্রধান দুই উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন আমদানি করবে বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমকো। মংলা বন্দরে সেটি খালাস করা হবে। এরপর বাংলাদেশ থেকে তা সরাসরি পশ্চিম ত্রিপুরার বিশালগড় বটলিং প্লান্টে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের (আইওসি) পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের পর এ রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ নেয়া হয়। গত আগস্টে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
গত শুক্রবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) ত্রিপুরার ফুড, সিভিল সাপ্লাইজ অ্যান্ড কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স সচিব দেবাশীষ বসু বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন বাংলাদেশের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এলপিজি আমদানি করবে। এক মাসের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ওই এলপিজি বাংলাদেশের বাগেরহাটের মংলা বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে এরপর তা যাবে ত্রিপুরায়।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের কাছে এলপিজি বিক্রি করবে বেক্সিমকো। ওই জ্বালানি পরিবহনও করা হবে বেক্সিমকোর নিজস্ব ট্যাঙ্কারে। তবে এজন্য স্থলবন্দর এবং সড়ককে আরও প্রস্তুত করতে হবে। সেটি করা হচ্ছে।
এলপিজি রপ্তানি প্রসঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ লিমিটেডের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এম মুনতাসির আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গত আগস্ট মাসে পরীক্ষামূলক একটি চালান ভারতের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়। আরো কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
দেশে এলপিজির খুচরা মূল্য কমাতে চায় বেক্সিমকো। আমদানি বাড়লে পাইকারি পর্যায়ে খরচ কম পড়বে, তাতে খুচরা মূল্য কমানো যাবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড