• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরবরাহ থাকলেও বন্যার অজুহাতে বেশি দামে সবজি বিক্রির অভিযোগ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২০ জুলাই ২০১৯, ১৪:০৫
সবজি
কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজি (ছবি: সংগৃহীত)

কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, শসা, টমেটো, বেগুনসহ গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি থাকা সত্ত্বেও দিন দিন সবজির দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণেই সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছে।

এছাড়া সব ধরনের মসলার দামও আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর মুরগি ও ডিমের দামও কমেছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজার ঘুরে শনিবার (২০ জুলাই) এ তথ্য মিলেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ১১০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচাকলা ২৫ থেকে ৪০ টাকা হালি, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর দুইশ টাকায় কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির দাম ছিল ৩০-৫০ টাকায়।

এ দিকে ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা চলছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আর এ দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। এ জন্যই সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারের ব্যবধান খুব বেশি না।

আর ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শীতকাল না হলেও বাজারে এখন শীতের সবজিসহ মৌসুমের সবজিও পাওয়া গেছে। এরপরও বিক্রেতারা বন্যার অজুহাত দেখাচ্ছে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে। তাদের কারণেই প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে সবজিসহ মসলার দাম।

এ ছাড়া সব ধরনের শাকও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ৭ থেকে ১৫ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে ঈদুল আজহার আগেই চড়া মসলার বাজার। বাজারে লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, গোল মরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রতিকেজি এলাচ কেজিতে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা, জয়ত্রী ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আর দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৯০ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ দিকে এসব বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারগুলোতে গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মহিষের মাংসও একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস দেশি মুরগি ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বয়লার ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড