অধিকার ডেস্ক
অনেকেরই জমি আছে, কিন্তু বাড়ি নির্মাণের টাকা নেই, ডেভেলপার দিয়েও করাতে চান না। অথবা বাড়ির প্ল্যান আছে ৭ তলার, করেছেন দুই তলা, বাকিটুকু করতে পারছেন না। অনেকের আবার বাড়ি পুরনো হয়ে গেছে। টাকার অভাবে মেরামত করাতে পারছেন না। এসব অবস্থায় দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার পাশে আছে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে মেরামত করার টাকা দেবে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। অল্প সুদের হারে সহজ শর্তে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দিচ্ছে বিএইচবিএফসি। প্রবাসীদের জন্যও আছে একটি প্রকল্প।
নতুন নতুন প্রকল্প গড়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সেবা দিচ্ছে বিএইচবিএফসি। আগের দোষত্রুটি শুধরে ডিজিটালাইজড সিস্টেমে এগিয়ে যাচ্ছে সরকারের এ প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন দেবাশীষ চক্রবর্তী। এরপরই গতি পায় হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন। কিছু নিজস্ব ভাবনায় ৬টি নতুন প্রকল্প খোলে তাতে সাড়াও মিলছে। এরইমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়েও গেছে বিএইচবিএফসি।
এর আগে দেবাশীষ চক্রবর্তী রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকে ঢেলে সাজানো হয় হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স। প্রতিষ্ঠানটি ৬টি ক্যাটাগরিতে ঋণ দিচ্ছে। কিছু দিন আগে বিএইচবিএফসির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী।
তখন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কর্পোরেশনকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমেছে। সেবা নিয়ে মানুষের দোরগড়ায় যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, যোগদানের পরপরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করে নিজস্ব ভাবনায় ৬টি ক্যাটাগরি আমরা নির্ধারণ করি। প্রকল্প ক্যাটাগরিগুলো হলো- আবাসন উন্নয়ন, নগর বন্ধু, আবাসন মেরামত, ফ্ল্যাট ঋণ, পল্লীমা ও প্রবাস বন্ধু। ক্যাটাগরিগুলো নির্ধারণ করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। এর ফলাফলও ভালো আসছে।
প্রকল্প অনুযায়ী যেভাবে ঋণ দেওয়া হচ্ছে
নগরবন্ধু: ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে একক বা যৌথভাবে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাটক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ। বাড়ি নির্মাণে সর্বোচ্চ এক কোটি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। বাড়ি নির্মাণে সুদের হার ৯.৫০% ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ১০%। ৫,১০,১৫ বা ২০ বছরে ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
পল্লীমা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোএলাকার বাইরে যেকোনো জেলা বা উপজেলা, গ্রোথসেন্টারে একক বা গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাট ক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ সেবা। এখানে বাড়ি নির্মাণে সুদের হার ৮.৫০% ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ১০%। ৫,১০,১৫ বা ২০ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
আবাসন উন্নয়ন: ভবনের অসমাপ্ত ফ্লোর নির্মাণে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় সুদের হার ৯.৫০% অন্যত্র ৮.৫০%। ৫,১০,১৫ বা ২০ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
আবাসন মেরামত: ভবন সংস্কারে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় সুদের হার ৯.৫০%, অন্যত্র ৮.৫০%। ৫ অথবা ১০ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
প্রবাসবন্ধু: প্রবাসীদের জন্য সারাদেশে একক বা গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাট ক্রয়ে সরল সুদে ঋণ পাওয়া যায়। বাড়ি নির্মাণে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় সুদের হার ৯.৫০%, অন্যত্র: ৮.৫০% ও ফ্ল্যাটক্রয়ে ১০%। ৫,১০,১৫,২০ অথবা ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
ফ্ল্যাট ঋণ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকাসহ যেকোন জেলা বা উপজেলা, গ্রোথসেন্টারে একক বা গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাট ক্রয়ে সরল সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম এলাকা মেট্রো এলাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে সুদের হার ১০%, পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৯%। ৫,১০,১৫ বা ২০ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
গ্রাহকদের উদ্দেশে দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আমরা ঋণ দিচ্ছি, টাকা নিয়ে বসে আছি, আপনাদের কাগজপত্র ঠিক থাকলে টাকা নিয়ে যান।
দেবাশীষ বলেন, হাউস বিল্ডিংয়ের ব্যাপারে মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে কাজ করছি। আগে সারা দেশে ২৯টি অফিস থাকলে আরও ৭১টি অফিসের অনুমোদন পাওয়া গেছে। শিগগিরই আরও অফিস খোলা হচ্ছে। জনগণের খুব কাছে যেতেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের যুগে আমরাও এগিয়েছি। আমাদের ওয়েব সাইট ও ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে লোকেরা বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। আমরা প্রশ্নলোর জবাব দিই। দেশ-বিদেশে আবাসন মেলাও করে চলেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। মানুষের আবাসন সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে আমাদের।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড