• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গারো পাহাড়ের সবজি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

  শেরপুর প্রতিনিধি

২৪ জুন ২০১৯, ১৮:৩৬
শেরপুর
শ্রমিকরা সবজি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রপ্তানির উপযোগী করছেন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

প্রথমবারের মতো শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের সবজি যাচ্ছে কুয়েতে। গত সপ্তাহের মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় চার মেট্রিক টন সবজি স্থানীয় সবজি আড়তদার সুরুজ আলীর মাধ্যমে ঢাকার এ এস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান কুয়েতে রপ্তানি করছেন। স্থানীয় বাজারে যে কাঁকরোল, করলা, ঝিঙ্গা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, বিদেশে রপ্তানিকারক কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকায়। ফলে এ উপজেলার কৃষকেরা আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন সবজি চাষে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এ পরিমাণ জমিতে মোট ১০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণ করে সিংহভাগ সবজি জামালপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ দেশের দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। এখন তা বিদেশেও যাচ্ছে।

গত মঙ্গলবার গুমড়া এলাকার সবজির আড়তে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা (শ্রমিক) সবজি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ওজন দিয়ে প্যাকেটজাত করে রপ্তানির উপযোগী করছেন। ওই প্যাকেটের গায়ে কুয়েতের একটি স্টিকারও লাগানো হচ্ছে।

কুয়েতের স্টিকার লাগানো সবজির প্যাকেট (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সবজির আড়তদার সুরুজ আলী বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে চাহিদা না থাকায় সঠিক দাম পাওয়া যায় না। আমি প্রথমে ঢাকার কাওরান বাজারে সবজি বিক্রি করতে যেতাম। পরে সেখান থেকে একজনের মাধ্যমে ঢাকার এ এস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে দু দফায় চার মেট্রিক টন সবজি বিক্রি করলাম। এ সবজিগুলোর বড় একটি অংশ কুয়েতে রপ্তানি করবে ওই প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরও বলেন, ওই কোম্পানি কুয়েত, দুবাই ও মালয়েশিয়াতে কৃষি পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আগামী সপ্তাহে আরও সাত থেকে আট মেট্রিক টন সবজি তাদের কাছে বিক্রি করা হবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরাসরি বিদেশে রপ্তানিকারক কোনো প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে সবজির চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দামও বাড়বে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলার কৃষকদের জমির মাটি পরীক্ষা থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের নিবিড় তত্ত্বাবধানে হাত পরাগায়ণ, জৈব বালাইনাশক ও যুক্তিসঙ্গত বালাইনাশক ব্যবহারে বিষমুক্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে। বিদেশে সবজির রপ্তানির বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে চুক্তির ব্যবস্থা করবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড