অধিকার ডেস্ক ১৩ জুন ২০১৯, ১৭:০১
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি সব পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে সুখবর। বাজেটে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্টক ডিভিডেন্ড কমিয়ে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা হলে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ঘোষণা দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রত্যাশা করে। কিন্তু ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে স্টক দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। এ কারণে প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। তাই কোম্পানিগুলোকে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান না করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে উৎসাহিত করতে কোম্পানির স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে রিটেইনড আর্নিংস বা বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ হিসেবে রেখে দেয়। এতে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত হন। কোনো কোম্পানির আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হাতে পাবলিকেলি ট্রেডেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করতে মন্ত্রী আরও বলেন, নিবাসী কোম্পানি ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর একাধিকবার কর আরোপ রোধের বিধান গতবছর কার্যকর করা হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহী করার জন্য এ বছর নিবাসী ও অনিবাসী সব কোম্পানির ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব করছি। ফলে নিবাসী কোম্পানির পাশাপাশি অনিবাসী কোম্পানির ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ হবে না।’
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড