ফিচার ডেস্ক
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এদিন সকালে অতিথিদের মিষ্টি মুখ করাতে সেমাই, চিনি ও দুধ কেনাকাটায় ব্যস্ত এখন নগরবাসী। হাতে সময় কম থাকায় তারা ছুটছেন সেমাই-চিনি কিনতে।
শেষ সময়ে তাই রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে সেমাই, মসলা, গুঁড়া দুধের দাম। আর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে সেমাই, চিনি, দুধের দোকানে ভিড় ততই বাড়ছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে রবিবার (২ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে বাজারে খোলা সেমাই ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত সেমাইয়ের মধ্যে রয়েছে বনফুল, অ্যারাবিয়ান, এস টি বেকারি, জেদ্দা, মধুবন, আলাউদ্দিন, কুলসুন, প্রাণ, ফু-ওয়াং, বিডি ফুড, প্রিন্স, কিশোয়ান, ডেনিশ, পুষ্টি ও ডায়মন্ড। এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ কয়েক দিন আগেও এর দাম ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা।
এছাড়া ৫০০ গ্রামের স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈগলু ব্র্যান্ডের ২৫০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকা, কিশোয়ন ৫০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই ১২০ টাকা, এস টি বেকারির লাচ্ছা সেমাইয়ের ৫০০ গ্রামের প্যাকেট ৫৫ টাকা, বোম্বের ৮০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, খোলা সেমাইয়ের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানের খোলা সেমাইয়ের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রোজার আগে যা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। আর কিছুটা ভালো মানের সেমাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজার থেকে এসব সেমাই ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছি সেমাই কেজি প্রতি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা বাজারে তা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে আরেক দফায় গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে। ডানো দুধ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। আগে এর দাম ছিল ৫৫০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের মার্কস দুধের দাম ২০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ফ্রেশ দুধের দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০ টাকায়, এক কেজির ডিপ্লোমা প্যাকেট ৫৫০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়।
আর কোনো কোনো দোকানি মিল্ক ভিটা, আড়ংসহ বিভিন্ন ধরনের তরল দুধও মোড়কে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খোলা তরল দুধের দাম। লিটার প্রতি তা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা রোজার আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
সেমাই রান্নার অন্যতম উপাদান চিনির দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি প্যাকেট জাত চিনি বর্তমানে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খোলা দেশি চিনি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা প্রক্রিয়াজাত চিনি প্রতি কেজি ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বরাবরের মতো ঈদের আগে বিভিন্ন মসলার দাম বেড়েছে। এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ টাকা। রোজার আগে এক কেজি এলাচ ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৬০০ টাকায়। দারুচিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। রোজার আগে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম বেড়েছে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
এছাড়া জিরা-বাদামসহ অন্যান্য মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এখন প্রতি কেজি জিরা ৩৮০ থেকে ৪১০ টাকা, কিসমিস ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পেস্তা বাদাম ১৬৪০ থেকে ২০৪০ টাকা, লবঙ্গ প্রতি কেজি ৮৩০ থেকে ১০০০ টাকা, কাজুবাদাম ৯৪০ থেকে ১০৫০ টাকা, কাঠ বাদাম ৭৩০ থেকে ৮৫০ টাকা, খোরমা ১০৫ থেকে ১২০ টাকা, জায়ফল ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা, শাহী জিরা ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা,আলু বোখারা ২৮৫ থেকে ৩০০ টাকা, কালো জিরা ১৮৫ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ দিকে মান ও বাজারভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর চীনা আদার কেজি ১৩০ টাকা এবং দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দেশি রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও চীনা রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড