অধিকার ডেস্ক
ঈদকে ঘিরে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে শপিংমলগুলো। প্রিয় মানুষদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়েছেন সবাই। তবে রাজধানীর অধিকাংশ শপিংমলগুলো এখন ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের পোশাকে সয়লাব।
বিশেষ করে নারীদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রে বিদেশী সিরিয়াল নাটকের নায়ক-নায়িকাদের নামকরণে পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
সালোয়ার কামিজের মধ্যে আনারকলি, মাসাককালি, কিরণমালা কাসুটি, লাসা, ঝিলমিল, আশিকি সারারা পোশাক বেশি চলছে। আর শাড়ির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সিল্ক, কাঞ্জিভোরামসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। এসব চাকচিক্যের পোশাকের দামও অনেক। ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
নানা নামের বাহারি রঙের চাকচিক্যময় এসব বিদেশী পোশাকের প্রতি ঝুঁকেছেন অনেক ক্রেতারা। আর বিদেশী পোশাকের দাপটে মার খাচ্ছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজের পোশাক।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ক্রেতাদের মনোভাব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন পোশাক পোশাকশিল্প খাতে সরকারের প্রণোদনা বলে জানিয়েছেন দেশী উদ্যোক্তারা।
মানুষের চাহিদার কারণেই বিক্রেতারা বিদেশী পোশাক বিক্রি করছেন এমন কথা জানিয়ে বসুন্ধরা শপিংমলের এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, দেশীয় ব্যান্ডগুলোর দাম অনুযায়ী মানসম্মত পোশাক না পেয়ে এসব পোশাক ক্রেতারা।
একই চিত্র ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও। বাচ্চাদের পোশাকের বেলাতেও দেশীয় কাপড়ের চেয়ে চায়না থাইল্যান্ড ও ভারতীয় পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
দেশীয় পোশাকের বাজার এ অবস্থায় বিদেশী পোশাকের আগ্রাসনে হুমকির মুখে পুড়েছে। দেশীয় ফ্যাশন হাউজের উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের বিক্রি অনেক কমে গেছে।
এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বিদেশী পণ্যপ্রীতি কমিয়ে দেশীয় পণ্য কেনার জন্য মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তবে, দেশীয় পণ্যের বাজার বাঁচাতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেয়াও প্রয়োজন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড