অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
সরকারি সংস্থার অর্থ আমানত হিসাবে রাখার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে না। তবে আমানতে ৬ শতাংশ বা এর কম সুদে রাখা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এই টাকা শুধু তারাই পাবে যেসকল ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়েছে। যারা নামায়নি, তারা সরকারি আমানত পাবে না। উদ্যোগটি নেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঋণের সুদের হার কমানো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে সরকারি খাতের মোট আমানতের পরিমান মাত্র ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে সরাসরি সরকারি খাতের আমানত ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সরকারি অন্যান্য (স্বায়ত্ত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত) সংস্থার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাকি ৮০ দশমকি ৭৯ শতাংশই হচ্ছে বেসরকারি খাতের আমানত।
ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে আমানত রয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের আমানত হচ্ছে আট লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারি খাতের মোট আমানত হচ্ছে দুই লাখ আট হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি আমানত ৬৭ হাজার ৫৭৬ লাখ কোটি টাকা এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার আমানত এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানিয়েছে, মোট আমানতের মধ্যে সরকারি আমানতের পরিমান খুবই কম থাকায় আমানত ঋণের সুদের হারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। এ কারণে সরকারি খাতের আমানত প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারের বৈদেশিক তহবিল টাকায় রূপান্তর করে ব্যাংকে আমানত হিসাবে রাখা হবে। অন্য আরও যেসব তহবিল রয়েছে, তার সবই ব্যাংকে রাখা হবে। এতে টাকার প্রবাহ ব্যাংকমুখী হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মানি হিসেবে যেসব অর্থ নিজেদের কাছে রাখে, তা থেকেও কিছু অর্থ বাজারে ছাড়া যাবে। সব মিলিয়ে বাজারে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
এসব আমানত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নোটিশ আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখা হবে।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড