অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
গত ১০ মাস ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াই চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। এই পদের জন্য পত্রিকায় দু’বার বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও কেউ যোগদান করতে চাচ্ছে না।অন্যদিকে বেসরকারি এবি ব্যাংকেরও অনেকটা একই অবস্থা।এমডি ছাড়াই সাত মাস ধরে চলছে এ ব্যাংকটি।আগের এমডিদের পদত্যাগের পর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো এমডি নিয়োগ দিতে ব্যর্থ ব্যাংক দু’টি।
ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা আছে, কোনোভাবেই কোনো বাংকের এমডি পদ তিন মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। এ সময়ের মধ্যে এমডি পদ পূরণ করতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক তখন ওই ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এই আইন বেসিক ও এবি ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক এ প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক দু’টিতে এমডি নিয়োগ দেওয়ার জন্য যথাযথভাবে বলা আছে। ব্যাংক দু’টি চেষ্টাও করছে। তবে বেসিক ব্যাংক সরকারি হওয়ায় সরকার সেখানে এমডি নিয়োগ দেবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব বেশি কিছু করার নেই। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এবি ব্যাংক ভালো এমডি নিয়োগ দিতে পারবে।’
২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী পদত্যাগ করেন। আর ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আউয়াল খান পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর থেকে ব্যাংক দু’টি ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চলছে।
মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদ এবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদানের সব প্রক্রিয়া শেষ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) পদেই আছেন। মামদুদুর রশিদের সঙ্গে ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল মুস্তাফিজুর রহমানের ও এবি ব্যাংকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।এজন্য তিনি ইউসিবি থেকে পদত্যাগও করেছিলেন। কিন্তু মামদুদুর রশিদ সিদ্ধান্ত পাল্টানোয় নাবিল মুস্তাফিজুর রহমানও পিছু হটেছেন। তিনি এবি ব্যাংকে না গিয়ে ইউসিবিতেই কর্মরত আছেন।
এদিকে ইউসিবিতে নাবিল মুস্তাফিজুরের পদে যোগদানের জন্যপ্রাইম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম নিয়োগপত্র নিয়ে এসেছেন। এরই মধ্যে তিনি প্রাইম ব্যাংক থেকে পদত্যাগও করেছেন।তবে নাবিল মুস্তাফিজ এবি ব্যাংকে না যাওয়ায় ফরিদুল ইসলাম ইউসিবিতে যোগ দিতে পারছেন না।
বেসরকারি খাতের প্রথম ব্যাংক হিসেবে এবি ব্যাংক লিমিটেড যাত্রা করেছিল। মানসম্পন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকটির অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। কিন্তু এ ব্যাংকের পরিস্থিতি গত এক দশক ধরে ভালো যাচ্ছে না। আর গত দুই বছর ধরে ব্যাংকটির অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এমন পরিস্থিতিতে এবি ব্যাংককে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবি ব্যাংকে মামদুদুর রশিদ ও নাবিল মুস্তাফিজুর রহমান কেনো যোগ দেননি, তা আমি জানি না। সিদ্ধান্তটি তাদের একান্তই ব্যক্তিগত। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
অন্যদিকে কেউই বেসিক ব্যাংকের হাল ধরতে চাইছে না। ব্যাংকটি এমডি বা প্রধান নির্বাহী পদের জন্য শর্ত শিথিল করেও কাউকে পাচ্ছে না। এছাড়া দু’বার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কোনো প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড