বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে এমারেল্ড অয়েল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন বন্ধ থাকায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে পারছেন না। আবার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার আছে,তাদের কেউই শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সোমবার(২০ মে) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে এমারেল্ড অয়েলের ১৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৮ হাজার ৫০০টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। কিন্তু কেউই এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি।

পরে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা দামে ১ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। পরবর্তীতে কয়েক দফা দাম বেড়ে দুপুর ১২টার আগেই ১৮ টাকা ৬০ পয়সা দামে ১ হাজার ৯০টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। অথচ কোনো বিনিয়োগকারী এই দামেও তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলশ্রুতিতে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার বিক্রেতা শূন্যই থেকে গেছে। উৎপাদান বন্ধ থাকায় ২০১৭ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারের পঁচা কোম্পানির গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ‘জেড’ গ্রুপে কোম্পানিটির স্থান হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চের পর কোম্পানিটি গত দুই বছরে কোনো প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। অথচ প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রবেদন প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তালিকাভুক্তির মাত্র দেড় বছরের মাথায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা কোম্পানিটির শেয়ারের হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বাড়া এবং বিক্রিতে উধাও হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ রয়েছে।বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮ দশমিক ৯৪ শতংশ শেয়ার।

ওডি/টিএফ