• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

লাভ বেশি হওয়ায় ফুলবাড়ীতে কলার আবাদ বাড়ছে

  আব্দুল মতিন, ফুলবাড়ী ,দিনাজপুর

০২ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:২৯
দিনাজপুর
ফুলবাড়ীতে কলার আবাদ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দিনাজপুরে ফুলবাড়ীতে উচ্চ ফলনশীল কলার আবাদ বাড়ছে। অনেকে কলা আবাদ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। চাষিরা জানান, উচ্চফলনশীল কলা চাষে খরচ কম এবং তা লাভজনকও। পরিচর্যায় শ্রম ও সময় কম লাগে। ফলে উপজেলায় এ কলার আবাদ বাড়ছে। অনেক ভূমিহীন কৃষক জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

উপজেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কলার আবাদ বেড়েছে। উচ্চফলনশীল জাত হিসেবে মেহের সাগর, সাগর, সবরি ও সুন্দরী (মালভোগ) জাতের চাষ বেশি হচ্ছে আর দেশী জাতের মধ্যে চিনিচম্পা।

কলা আবাদ লাভবান হওয়ায় ভালো জাতের কলা উৎপাদনে চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরাতে জানা যায়, চলতি বছর ৬ হেক্টরের অধিক জমিতে কলা চাষ হয়েছে। আর চাষিদের অধিকাংশই ভূমিহীন কৃষক।

তারা পরিত্যক্ত ও অনাবাদি জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করছেন। তাছাড়া উপজেলার কিছু অঞ্চলের জমি কলা চাষের উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। চারা রোপণের তিন-চার মাসের মধ্যে থোড় আসছে। প্রতি কাঁদিতে ছয় থেকে আটটি ছড়া কলা পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমডুঙ্গী, বারাই, জলপাইতলী এলাকায় কলা বিক্রির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। এসব বাজারে দিনে ৪-৫ ট্রাক কলা বিক্রি হয়। আর ছোট বাজার হিসেবে, লক্ষিপুর, মাদিলা, দেশমারেও কেনা-বেচা ভালো।

উপজেলায় উৎপাদিত কলা এসব পাইকারি বাজারের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হচ্ছে।

উপজেলার কুশলপুর গ্রামের কলা চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি পরপর কয়েক বছর কলা চাষ করছেন। কলা চাষে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করলে ভালো লাভ পাওয়া যায়।

প্রতি একরে উৎপাদন খরচ পড়ছে গড়ে ৩৫ হাজার টাকা। বিক্রি হবে ৭০ হাজার টাকা। অনেক ভূমিহীন চাষি জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি আরও জানান, তারা উৎপাদিত কলা মাঠ থেকে আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। ফলে বাজারজাত করার পরিবহন খরচ লাগছে না।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, কিছু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় মাঠ থেকে অপরিপক্ব কলা কেটে মাটির ঘর বানিয়ে তার মধ্যে মজুদ করে। পরে কেরোসিনের চুলা জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিয়ে অথবা কেমিক্যাল স্প্রে করে কলা পাকায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ জানান, উপজেলায় চলতি বছরে ৬ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল কলার আবাদ হয়েছে। গত কিছুদিন আগে এর ফলন আরও ৪২ বিঘা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ থেকে ৫০ টন কলা উৎপাদন হয় । প্রতি হেক্টরে জমিতে ২.৫ মিটার পরিধিতে কলা রোপণ ব্যয় হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হবে ২০ টাকা। প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত কলা ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে। তিনি আরও জানান, খরচের তুলনায় দ্বিগুণ আয় হওয়ায় জেলার চাষিরা কলা আবাদে ঝুঁকেছেন।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড