• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পঞ্চগড়ে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বাগান

  মুবারক হোসেন, পঞ্চগড়

১৫ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৯
পঞ্চগড়
মুকুলে ভরা আমগাছ

আজ বাংলা চৈত্র মাসের প্রথম দিন। আর চারদিকে বাতাসে দোল খাচ্ছে মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রমে প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের আমের গাছ ও আমের বাগানগুলো।

আমের মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো। প্রায় ৬০ শতাংশ গাছেই আসছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।

আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়।

এ উপজেলা ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, রূপালী, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান সৃজন করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। আম চাষে সফল কৃষক উপজেলার পাগলী ডাঙ্গি গ্রামের মো. নেজারউদ্দিন দৈনিক অধিকারকে বলেন, পুরোপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে যদি মহান আল্লাহ পাক সহায় করেন। নেজারউদ্দিনের মতো বাংলাবান্ধা গ্রামের বাবুল হোসেনসহ অনেকেই আমের বাগান তৈরি করছেন।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা। সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান সৃজন করছেন। ধীরে ধীরে এ উপজেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।

এ ব্যাপারে আম বাগান মালিক নুর ইসলাম বলেন, ঝড় ও শিলা বৃষ্টি না হলে আশা করা যাচ্ছে এবারও আমের ফলন ভালোই হবে। আমের মুকুল ভালো এসেছে গাছে গাছে। এ সকল ফল অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একটু দেরিতে হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরে আমের চাহিদা ব্যাপক থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার এ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে বলে আশা করছি। তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড