অধিকার ডেস্ক ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৯
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের উৎপাদিত মোট ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার মাছের মধ্যে সমুদ্র থেকেই সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন এসেছে,যা মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আমাদের বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি মাছ এবং বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক ও জৈবগুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, ব্লু-ইকোনমির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পাইলট-কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারত ও মিয়ানমারের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা যুক্ত হয়েছে। ফলে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণ,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব ও অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জেলে প্রায় ৭০ হাজার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানের সহায়তায় জীবিকা নির্বাহের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৪০ মিলিয়ন মান ডলারের “সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট” শীর্ষক বৃহত্তম একটি প্রকল্প-গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় উপকূলীয় ও বঙ্গোপসাগরের জলজসম্পদ ও সুযোগ কাজে লাগাতে নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সরকার “ভি মীন সন্ধানী” নামক সমুদ্র গবেষণা ও জরিপ-জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রের চিংড়িসহ তলদেশীয় ও উপরিস্থ মাছের জরিপের কাজও চলছে।’
আশরাফ আলী খান মনে করেন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে মেরিকালচার লাভজনক হওয়ায় দেশে মেরিকালচারের প্রজনন-প্রযুক্তির গবেষণার মাধ্যমে মৎস্য আহরণের সম্প্রসারণ ঘটানো জরুরি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড