অধিকার ডেস্ক ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪১
আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) দ্বিতীয়ার্ধে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। গভর্নর ফজলে কবির এ দিন নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদ ও ঋণখেলাপি কমানোর পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে ব্যাংকে আমানতের প্রবাহ কমার বিপরীতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। ফলে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং বিনিয়োগ ব্যয় বাড়ছে। ফলে কাক্ষিত হারে রাজস্বও আদায় হচ্ছে না। এজন্য সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েই চলেছে।
সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এমন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সহজ হবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের কাজ চলমান রাখতে সরকারের ঋণ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে পাঁচ হাজার ১১০ কোটি টাকা। ফলে আলোচ্য সময়ে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের কারণে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারেনি।
জানা গেছে, এ কারণেই দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কৌশল থাকবে। এ ঋণের জোগান দিতে ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়ানোর জন্যও বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড