• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিলে বৈধ হবে স্বর্ণ!

  অধিকার ডেস্ক    ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৯

স্বর্ণ আমদানি
স্বর্ণের বার (ছবি: সংগৃহীত)

নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ আমদানি শুরুর পাশাপাশি প্রচারণা বাড়াতে শিগগিরই স্বর্ণ মেলার আয়োজন করা হবে।যেখানে ব্যবসায়ীরা সরকারকে ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ পাবে।

স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটির সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলামের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বর্ণের তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলা, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে স্বর্ণ আমদানির জন্য যাচাই কর্তৃপক্ষ গঠন, আমদানির পর বাজারে স্বর্ণ কতটুকু মজুদ আছে, কতটা বিক্রি হয়েছে সেসব তথ্য সংরক্ষণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ভরিপ্রতি শুল্ক দিতে হবে দুই হাজার টাকা। ভ্যাটের হার ধরা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্ক আগের মতোই রাখা হয়েছে।

দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ টন হলেও দেশে বৈধপথে স্বর্ণ একেবারেই আমদানি হয় না। অবৈধ পথে আনা স্বর্ণ দিয়েই এই চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী শিগগিরই স্বর্ণ আমদানি শুরু হবে।সরকার এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্বর্ণ নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে।তবে নীতমালার ব্যাপক প্রচারণা না থাকায় ব্যবসায়ীরা এখনও এ বিষয়ে জানে না। ফলে স্বর্ণ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। এজন্যই স্বর্ণ মেলার আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের মধ্যে মাত্র ১০ কেজি স্বর্ণ নিলামে তোলার সুযোগ আছে।২০০৮ সালের ২৩ জুলাই এর পর গত ১০ বছর ধরে নিলাম না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বর্ণের স্তুপ জমে গেছে।

ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে অবৈধ উপায়ে আসা স্বর্ণের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কেজি বা ১২৫ মণেরও বেশি। আর বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে গত চার বছরে দুই হাজার কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। যার ৬০ মণ স্বর্ণের মালিকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

আর মামলায় মালিকানা ঝুলে আছে আরও প্রায় ৩০ মণের। তবে আদালতের নির্দেশে শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে ১৫ কেজি স্বর্ণ দাবিদারদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর নিলামের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করা হয়েছে।

স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা অথবা সরকার বিবেচিত অন্য যেকোনো কর্তৃপক্ষের আওতায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর (ল্যাব টেস্ট বা ‘ফায়ার টেস্ট’ ও ‘হলমার্ক টেস্ট’ সুবিধাসহ) স্বর্ণের মান যাচাই ও বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ নিশ্চিতকরণে পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা/আপগ্রেডেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব মান যাচাই কেন্দ্রের বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) অথবা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হতে অ্যাক্রেডিটেশন গ্রহণ করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড