অধিকার ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৫
অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র (এলসি) সহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন অনলাইন রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তথ্য হালনাগাদ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ।
অনেক ব্যাংক এলসির বিপরীতে এক্সেসরিজ সরবরাহের তথ্য যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থায় না দেওয়ার ফলে এক্সেসরিজ সরবরাহকারীরা বন্ড সুবিধা পেতে জটিলতায় পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণেও সমস্যা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ বুধবার (১৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রসহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বিষয়ে অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এক্সেসরিজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাড়ার ফলে এলসির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘এলসির মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ শুল্ক বা বন্ড সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালনীয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থায় সংরক্ষিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচনা করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পেরেছে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্থাপনকারী ব্যাংক অনলাইন ব্যবস্থায় যথাসময়ে রিপোর্ট করে না।
পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে, ঋণপত্র সংশোধন হলে সে অনুযায়ী আগে রিপোর্ট করা অনলাইন ব্যবস্থার তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই অপূর্ণাঙ্গ তথ্যের কারণে ঋণপত্রের সুবিধাভোগীদের নানান সমস্যা হচ্ছে। যা রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের স্বার্থে যা কাম্য নয়।
সার্কুলারে তাই এরকম পরিস্থিতিতে সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সার্বিক তথ্য যথাসময়ে অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হলো বলে উল্লেখ করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড